পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెళ్ళి ঈশাচরিতামৃত। যন্ত্রণ জপমানও নিতান্ত দুঃসহ, এই সকল বিষয় চিত্ত করিতে করিতে তাহার প্রাণ আকুল হইয়া উঠিল। ভাবনায় আপাদমস্তক একবারে বিলোড়িত হইতে লাগিল। শিষ্যদিগকে বলিলেন, “তোমরা এই স্থানে উপবিষ্ট থাক, আমি নির্জনে পিভার নিকট প্রার্থনা করিয়া আসি । এই বলিয়া পিটার, জন এবং জেমসকে সঙ্গে লইয়া কিছু দূর অগ্রসর হইলেন। ক্রমে প্রাণ নিতান্ত অস্থির এবং ভারাক্রাক্ত হইয়। পড়িল । এখনো পৰ্য্যস্ত মনে এরূপ ভাব আছে যে যদি পিতার ইচ্ছ। হয় ভৰে বিনা প্রাণদণ্ডেও তাহার অভিপ্রায় সিদ্ধ হইতে পারে । কিন্তু তৎপ্রতি আশা আতি অল্প, অসম্ভব নহে এইমাত্র কেবল মনে হইতেছে। অনস্তুর নিরতিশয় ভগ্নান্তঃকরণে সলিদিগকে বলিলেন, “আমার আত্মা হুঃখেতে একবারে অবসর হইয়া পড়িতেছে, যেন মৃত্যুযন্ত্রণা অনুভব করিতেছি। এইখানে তোমরা জাগিয়া বসিয়া থাক।” পরে আরো কিছু দূর জন্তে গিয়া ভূমিলুটাইয়া বলিলেন, “হে আমার পিতা, তোমাতে সকলি সম্ভব, বদি সম্ভব হয় তবে এই দুঃখের পানপাত্র আমার নিকট হইতে স্থানান্তরিত কর । তথাপি বলিতেছি, আমার ইচ্ছা নহে, তোমার ইচ্ছা পূর্ণ হউক।” প্রার্থনান্তে ফিরিয়া জাসিয়। দেখেন যে পিটার প্রভৃতি শিষ্যত্রয় নিদ্রায় এককালে অভিভূত হইয় পড়িয়াছে। তদর্শনে বিস্ময়াপন্ন হইয়। বলিলেন, “পিটার, কি আশ্চর্ঘ্য, তোমরা এক ঘণ্টাকাল আমার সঙ্গে জাগিয়৷ থাকিতে পারিলে না ! সচেতন থাকিয় প্রার্থনা কর ষেন পরীক্ষায় পড়িতে না হয় । বুঝিয়াছি, মন ইচ্ছুক, কিন্তু শরীর হুর্বল।” শিষ্যের চুর. বস্থায় এমন করিয়া কে আর সহানুভূতি করিতে পারিবে ? দুঃখ ভাবনা ভয়ে, অধিকন্তু নিদ্রার ঘোরে তাহার। তখন ৰাস্তবিকই বড় কৃপাপাত্র হইয়াছিল । একমাত্র জীবনাশ্রয় যিনি তাহার সঙ্গ ছাড়িতেও পারে না, আবার তাহার ভাবের সমভাবী হইয়। যে সময়োচিত বিশ্বাস সাহস প্রদর্শন করিবে সে সামর্থ্যও নাই, সবদিক যেন অকূল পাথার। গুরুদেবের দেহলীলা অজ্ঞে তাহার কোথায় গিয়া কাহার আশ্রয়ে দাড়াইবে, দুঃখ বিপদের সময় কেইবা তাহাদিগকে সাম্বন বাক্য শুনাইয়া সুখী করিযে, দেশশুদ্ধ সকল লোকই শক, মান ভাবনায় সকলে কাতর হইয় পড়িল ।