পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ঠিক তাই, তা নইলে কি এমন লক্ষ্মী ঘরে আসে। তা হোক, ঠাকুর মশাই, পাচ টাকা ত দিয়েছিলেন, তার এই-- সবুর করুন, গণে দেখি। এই হোলো দুইটা সিকি, আর—” লক্ষ্মী হাসিয়া বলিল,“আবার হিসেব,--আবার “এই হোলো’ ” “তা হলে কি করব দিদিঠাকরুণ, তুমিই বলে দেও।” “যা আছে, মার কাছে ফেলে দেও, উনি গণে নিতে হয় * নেবেন, না হয় তুলে রাখবেন।” “দিদিঠাকরুণ, এমনই করে বুঝি সংসার করবে !! গণতে হবে লক্ষ্মী দিদি, গণতে হবে। গণে-গণে পা ফেলতে হয় দিদি-পা পৰ্যন্ত ফেলতে হয়। তা সে কথা এখন থাক। দেখুন ঠাকুর মশাই, কাশী যায়গা ; আমন করে বাইরের দুয়োর খুলে রাখবেন না ; রাত-বিরেতে যাকে-তাকে দুয়োর খুলে দেবেন না। আমি যখন এসে ডাকার “ঠাকুর মশাই, আমি রমেশ” তখনই দুয়োর খুলবেন। জন্ম থেকে এই কাশীতে কাটালাম কি না, এর হাট-চাঁদ এই রমেশ জানার জানতে বাকী নেই। এখন আমি তা হলে মাঠাকরুণ -একটা প্ৰণাম করে যাই ।” লক্ষ্মী বলিল, “আসতে-যেতে যদি এত প্ৰণাম কর, তা হলে তোমার মাথা ব্যথা হয়ে যাবে যে ” রমেশ বলিল, “প্ৰণামের কথা যদি তুললে দিদি লক্ষ্মী, তবে শোন । এই যে দেখছি রমেশ জানা-কৈ বৰ্ত্তের ছেলে--"এ কোন দিন-আজি পৰ্য্যন্ত কোন দিন কাউকে প্ৰণাম করে নাই,— তোমার ওই বাবা বিশ্বনাথকে ও না-সেই মা অন্নপূর্ণাকে ও না,--- D o R