পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তখন দেখে এসেছেন, কৰ্ত্তারও ঐ রোগে ধরেছে। আপনি একটবার আসুন ।” ডাক্তার বলিলেন, “গিয়ে কি হবে বাপু, এতদিনের মধ্যে একটাকেও ত বঁাচাতে পারলাম না ; সব ওষুদ বৃথা হয়ে যাচ্ছে । আর গিয়ে কাজ নেই ; এই ব্যবস্থা লিখে দিচ্ছি ; ওষুদ নিয়ে যাও, খাওয়াও ; আয়ু থাকে, বাঁচবে। গিয়ে কোন ফল নেই।” রমেশ অনেক মিনতি করিল ; ডাক্তার আসিলেন না। রমেশ তখন ডাক্তারখানা হইতে ঔষধ লইয়া, মনে করিল, এদের বাড়ীতে একটি খবর দেওয়া দরকার। যে রকম অবস্থা, তাতে কৰ্ত্ত গিন্নী কাহার ও রক্ষা নেই। মেয়েটাকে লইয়া সে মহাবিপদে পড়িবে। এই মনে করিয়া রমেশ ডাকঘরে যাইয়া হরেকৃষ্ণকে টেলিগ্রাম করিল ; তঁাহার ঠিকানা সে পূর্বেই জানিত । প্ৰায় আধঘণ্টা পরে রমেশ বাসায় ফিরিয়া আসিয়া দেখিল, দুইজনেরই অবস্থা ক্রমেই খারাপ হইতেছে। রমেশ বলিল, “ঠাকুর মশাই, ওষুদ এনেছি ; একটু খান ।” “আমার আর ওষুদে কিছু হবে না। দেখ, গিয়ীকে দাচাতে পার কি না । আর হরেকৃষ্ণকে একটা খবর দেও৷ ” রমেশ বলিল, “তঁাকে তার করেছি।” “বেশ করেছ বাবা ! এখন গিল্পীর জন্য ভাল করে চেষ্টা কর । ওঁকে না বাচাতে পারলে লক্ষ্মীর কি হবে ?” লক্ষ্মী বলিল, “বাবা, এখন বিশ্বনাথের নাম করুন। আমার আদুষ্টে যা থাকে, তাই হবে।” &S