পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেউ,কঁধ দিত না। তবে, একে তুমি আমাদের কত উপকার করেছ, তার পর এমন হরগৌরী। যাক, তুমি আমাদের তিনটী করে টাকা দিও। দেখ বেটার, কেউ এতে আপত্তি করিস নে। টাকা ঢের পেয়েছি, বেঁচে যদি থাকি, আরও কত পাব ; কিন্তু এমন মড়া হয় তা আর কঁাধে করতে পারব না। আজ তোদের জন্ম সফল হয়ে যাবে। এই কথা রইল, রমেশদ, কি বল ?” রমেশ বলিল, “বেশ, তাই দেব। আর দেৱী করিস নে ; রাত প্ৰায় নটা বাজে ।” তখন সকলে ঘরের মধ্যে গেল । রাম যাহা বলিয়াছিল, তাহাই ঠিক ; এমন মৃতদেহ—এমন হরগৌরী একসঙ্গে, এক খাটে শয়ন করাইয়া তাহারা কোন দিন শ্মশানে লইয়া যায় নাই । রামা বলিল “কেমন, যা বলেছি, ঠিক কি না । দেখা তোদেরও মা-বাপ ছিল, কার ও বা এখনও আছে । আজ ঠাট্টাতামাসা করতে কেউ পাবিনে। আজ মনে কর, তোদেরই ধাপ-মা মরেছে ; তোরা তাদেরই শ্মশানে নিয়ে যাচ্ছিস । তা যদি না পারিদি, ঘাটে গিয়ে যদি মদ-গাজা চালাতে চাস, তা হলে সরে পড়বা। আমি দোসর লোক নিয়ে আসছি।” সকলেই সমস্বরে বলিল “না, না, আমরা আমাদের বাপমাকেই আজ নিয়ে যাচ্ছি, কোন বেয়াদবি করব না।” রামা তখন রমেশকে বলিল “রমেশ দা, আমরাও ব্রাহ্মণের ছেলে। লেখাপড়া শিখি নাই ; বন্দ সঙ্গে পড়ে, আর এই 98