পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন দিনের পথশ্রমে বড়ই ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন ; তাহার পর ঐই শোক । তিনি একটি ঘরে শয়ন করিলেন । ছোটবধূও ক্লান্ত হইয়াছিলেন ; তিনিও লক্ষ্মীর পাশ্বে শয়ন করিয়া দুই একটী কথা বলিতে-বলিতেই নিদ্রীভিভূত হইলেন। লক্ষ্মীর চক্ষে নিদ্রা নাই । আজ যে সে এতদিনের মেহের বন্ধন ছিন্ন করিয়া, কোন এক অন্ধকার পথে বাহির হইবে, —তাহার কি নিদ্রা আসে। এই সতর বৎসরব্যাপী জীবনের ঘটনা আজ তাহার মানস-পটে উদিত হইতে লাগিল ; তাহার বুক ফাটিয়া যাইতে লাগিল। তাহার মনে তখন যে কত কথা উঠিল, তাহা বৰ্ণনা করা অসাধ্য। লক্ষ্মী যখন দেখিল যে, সকলেই নিদ্রিত হইয়াছেন, তখন সে প্ৰদীপের কাছে বসিয়া একখানি পত্ৰ লিখিতে লাগিল । পত্ৰখানি ছোট ; কিন্তু তাহার যে কলম চলে না । এক, একবার চক্ষের জল মুছিয়া ফেলে, আবার এক লাইন লেখে ;- আবার বসিয়া ভাবে ; আবার কঁাদে ;-অ্যাবার কলম তুলিয়া লািঠয়া লিখিতে বসে । প্ৰায় ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পর সেই ক্ষুদ্র পত্ৰখানি ধীরে ধীরে বিছানার উপর রাখিয়া দিল । তাহার পর নিদ্রিতা কাকীমার দিকে অনেকক্ষণ চাহিয়া রহিল। আর যে সে স্নেহমাথা মুখ সে দেখিতে পাইবে না—আর যে ‘কাকীমা’ বলিয়া আদর করিয়া কাহার গলা জড়াইয়া ধরিতে পরিবে না । আর একটু পরেই সব শেষ হইবে,-—সমস্ত বন্ধন ছিন্ন হইয়া S ( )