পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অদূরবত্তী একটী দেবতা-পরিত্যক্ত মন্দিরে তিনি বাস করেন ; সঙ্গী বা সঙ্গিনী কেহ নাই। এত দিনের মধ্যে বপাহাকেও চেলা করেন নাই, বা কোন প্ৰকার আড়ম্বরও করেন নাই । একাকিনী থাকেন ; যে যাহা দিয়া যায়, তাহাই আহার করেন। যে দিন কিছু না জোটে, উপবাস করেন। কোন দিন ভিক্ষায় বাহির হন না । ঠাকুর-দেবতা দর্শন করিতেও কখন যান না । অতি প্ৰত্যুষে একবার গঙ্গাস্নান করিতে যান ; সুৰ্য্যের অনুদয় কালেই ফিরিয়া আসেন। সকলেই বলে ব্ৰহ্মচারিণী খাটি মানুষ । কতজন তাহার শিষ্য-শিষ্য হইতে চেষ্টা করিয়াছে ; তিনি প্ৰত্যাখান করিয়াছেন ; কতজন তাহার আশ্রম প্ৰস্তুত করিয়া, তাহার সেবার বন্দোবস্ত করিয়া দিতে আগ্ৰহ প্ৰকাশ করিয়াছে ; তিনি তাহাতে কৰ্ণপাত করেন নাই। পাশ্ববৰ্ত্তী লোকেরা বলে, মধ্যে-মধ্যে একজন বৃদ্ধ সন্ন্যাসী ঐ মন্দিরে আসেন ; দুই চার ঘণ্টা ব্ৰহ্মচারিণীর সহিত কথাবাৰ্ত্তা বলিয়া আবার কোথায় চলিয়া যান । রমেশ ও এ সকল দেখিয়াছে । তবে তাহার কঠোর হৃদয়ে ভক্তির সঞ্চার হয় নাই । সে যাইত আসিত ; পহ্মচারিণী তাতার সহিত দুই চারিটিী কথাও বলিতেন,-ভাল কথাই বলিতেন । এতদিন রমেশের কোন প্রয়োজন হয় নাই ; তাই সে বিহ্মচারিণীকে কোন কথা বলে নাই, কোন উপদেশও প্রার্থনা করে নাই ;- ও সব তাহার প্রকৃতি-বিরুদ্ধ ছিল । কিন্তু এই মেয়েটার ভার লইয়া সে যে বিব্রত হইয়া পড়িয়াছে ! তাই এই У 90