পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না, টাকার এখন দরকার নেই। কুঠী থেকে যা এনেছি, তাতে বাড়ী-ভাড়া দিয়ে ও দুতিন মাস চলে যাবে।” লক্ষ্মী বলিল, “রমেশদা, আমার জন্য তুমি তোমার এই ঐত কষ্টে জমান টাকা খরচ করছি ; আমি ত কোন দিন এর একটা পয়সা ও শোধ করতে পারব না-আমার কোনই ट°ांघ्र नाश् ।।”

  • “কে তোমাকে শোধ:করতে বলছে দিদি লক্ষ্মী ! কার জমান টাকা ? টাকা বুঝি এতকাল আমি জমিয়ে রেখেছি। তুমি এত শাস্তর পড়েছি, এত তোমার বুদ্ধি ; তুমি এই কথাটা বুঝতে পার না, এতেই আশ্চৰ্য্য হয়ে যাই । আমার ঘর নেই, সংসার নেই; আপনার বলতে কেউ নেই ;—আমি টাকা জমাতে যাব কেন ? কার জন্যে ? কথাটা কি জান দিদি!ছেলে মাটীতে পড়বার আগে তার আহারের জন্য মায়ের বুকের রক্ত ক্ষীর করে রাখে কে জান ? পাহাড়ের পাষাণ ভেঙ্গে গঙ্গা বইয়ে দেছেন কে জান ? যিনি এই সব খেলা দিন-রাত খেলছেন্স তিনি সব দেখেন, সব জানেন ! তুমি এমনই করে আসবে জেনে তিনি এই আমার হাত দিয়ে টাকা জমিয়ে রাখছিলেন। আমিই কি তা জানতাম, না বুঝতাম। এখন দেখছি, আর অবাক হয়ে যাচ্ছি। এ তোর টাকা দিদি ! সব তোর ;- তোরই জন্য এ টাকা কুঠাতে জমা হয়ে আসছিল। এখন খরচ হচ্ছে। এর একটি পয়সা ও তোর রমেশ দাদার নয়। ভারি ত রমেশ দাদা ! লেখা জানে না, পড়া জানে না। ;-

SNኃ°?