পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সময় বেরিয়ে চারটিার পর শতখালি গিয়ে উপস্থিত । গ্রাম খুব বড় ; অনেক ব্ৰাহ্মণের বাস ; অন্য জাতও আছে। গেলাম হরচন্দ্ৰ চাটুয্যের বাড়ী। চাটুয্যে মশাই বাড়ী ছিলেন না ; নিকটেই কোন গ্রামে নিমন্ত্রণে গিয়েছেন। বাড়ীতে অন্য র্যারা ছিলেন, র্তারা পরিচয় নিয়ে খুব আদর-যত্ন করলেন ; পাশের বাড়ীরই এক বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ সেখানে ছিলেন। তার সঙ্গে বাবার পরিচয় ছিল ; বাবা না কি কয়েকবার তার বাড়ীতেও গিয়েছিলেন ; তিনি ও আমাদের বাড়ী এসেছিলেন। নাম বললেন হৃষীকেশ গাঙ্গুলী। তিনি বেগের গাঙ্গুলী বড়দা !” বড় কৰ্ত্তা বলিলেন, “শতখালির হৃষী গাঙ্গুলীকে আমিও চিনি। বেশ লোক ৷” হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “তিনিও আপনার কথা বললেন । যাক একজন পরিচিত লোক পেয়ে মনে একটু সাহস হোল। তাকে সব কথা বললাম। তিনি খুব ভরসা দিলেন- হারু চাটুয্যের ছেলে ভাল, ফরিদপুরে এক উকিলের মুহুরী ; পয়সা-কড়ি বেশ উপাৰ্জন করে। বয়স শুনলাম সাঁইত্রিশ আটত্রিশ। তিনটা বিবাহ • করেছিল, দুটা মারা গিয়েছে, একটা বেঁচে আছে ; সে বাপের বাড়ীতেই থাকে, শ্বশুরবাড়ী আসতে চায় না । সেই জন্য ছেলের পুনরায় বিবাহ দেওয়ার ইচ্ছা । এই সব কথা শুনে আমার ত ভালই বোধ হোলো, বুঝলে বড় বেী। সন্ধ্যার সময় হরচন্দ্ৰ চাটুয্যে মশাই বাড়ী এলেন। সন্ধ্যার পর কথাবার্তা হ’ল। চাটুয্যে মশাই বললেন যে, তার ছেলে ত বিবাহ করতেই (ا؟