পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেলায় যাত্রা করে, দশটার সময় নৌকায় এলাম। তার পর আর কি,-আর কোথাও গেলাম না-একেবারে বাড়ী চলে এলাম।” বড় বীে বলিলেন, “বেশ করেছি। ঠাকুরপো। লক্ষ্মীর অদৃষ্ট বিয়ে থাকে, হবে,-তুমি আর অমন করে দেশে দেশে ঘুরে বেড়িও না। এই আজ দুবছর কোথায় বা না গেলে বল দেখি। সুধু কষ্টই সার হোলো ।” বড় কর্তা বলিলেন, “তাই ভাল করে ওকে বোঝাও বড় গিন্নি! ও আমার সব কথা শুনবে, সুধু লক্ষ্মীর বিয়ের কথাই শুনবে না। তাই দেশ-বিদেশ ঘুরে মরছে। এখন দেখলে ত ভাই; যদি পালটী ঘর মেলে, তা ভাল ছেলে মেলে না। যদি বা দুটোই মেলে, তা হলে যে টাকার দাবী করে, তা আমাদের বেচলেও হয় না । আমি কি সব দিক না দেখে-শুনেই চুপ করে আছি। এখন তুমিও ত দেখলে। তবে আর কি,-চুপ করে থাক।” এই সময় শীতল ও নগা জিনিসপত্র লইয়া আসিল । হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “বড় বীে, সস্তা দেখলাম, তাই এক কলসী গুড় কিনে নিয়ে এলাম।” বড় বীে রহস্য করিয়া বলিলেন, “যা হোক, মিষ্টি-মুখ করবার ব্যবস্থা ত করে এসেছী। দেখ ঠাকুরপো, তুমি আর অমন করে দেশ-বিদেশ করে বেড়িও না। একে তোমরা মহা কুলীন, পালটী ঘর মেলে না ; তার পর লক্ষ্মীকে যার-তার হাতেও দিতে পারবে না। তার পর আমাদের এই অবস্থা। আমরা অনেক পুণ্য, অনেক তপস্যা করেছিলাম, তাই তোমাদের ঘর করছি ; নইলে কুলীনের わ