পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃদ্ধ মধু ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় এই বাহিরের ঘরেই থাকিতেন। এ স্বর তঁহারই। হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “আজ্ঞা, আমি হরেকৃষ্ণ, কাকা মশাই ।” “তরেকৃষ্ণ, তা বাবা এত রাত্রে কোথায় যােচ্ছ ? বাড়ীতে কি কারও অসুখ-বিসুখ হয়েছে।” হরেকৃষ্ণ মহা বিপদে পড়িলেন ; বৃদ্ধের প্রশ্নের কি উত্তর দিবেন, সহসা ভাবিয়া পাইলেন না। মিথ্যা কথা বলা ব্যতীত উপায়ান্তর নাই। একটু চুপ করিয়া থাকিয়াই বলিলেন, “এই রাঙ্গা গাইটা নিয়ে বড়ই বিপদে পড়া গিয়েছে, কাক মশাই! গোয়ালে শব্দ শুনে উঠে দেখি, রাঙ্গা গাইটা নেই। কার ক্ষেতের ধান খাবে, কে ভয় ত খোয়াড়ে দেবে, না হয় বেঁধে রাখবো ; তাই সেটাকে খুজতে বেরিয়েছি । আপনি এখন ও জেগে৷ কাক মশাই!” মধু ভট্টাচাৰ্য্য বলিলেন, “আরে বাবা, আমার কথা আর জিজ্ঞাসা কর কেন ? আমার কি রাত্তিরে ঘুম আছে, উঠ-বস করেই রাত কাটে। এই একটু তন্দ্রার মত হয়েছিল, আর অমনি জেগে উঠেছি। তা যাও বাবা, দেখগে গরুটা কোথায় গেল । আজকালকার দিনে গরু পোষাও এক হাঙ্গামা হয়েছে।” হরেকৃষ্ণ আর বাক্যব্যয় না করিয়া চলিয়া গেলেন । গ্ৰাম ছাড়িয়া একেবারে মাঠের রাস্তায় পড়িলেন । কোথাও জনমানবের সম্পর্ক নাই। এত রাত্ৰিতে মাঠে কে থাকিবে । হরেকৃষ্ণ একবার মনে করিলেন, এ দিকে আর অগ্রসর হইয়া কি R