পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কষ্ট করিয়াছেন, কিন্তু সে কথা একদিনের জন্যও আমার মনে হয় নাই ;-একদিনের জন্যও আমি দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করি নাই । তবে আমার উপর এ গুরু দণ্ড, এ কঠিন বজ্রাঘুত্ত্ব, কৃেষ্ঠান হইল ? কে বলিয়া দিবে, কোন পাপের এ শাস্তি ? မြိုဓိုမှီး নই୯୩୧୩ বলিয়া ত মনে করিতে পারিতেছি না। আমি সধবাও নাহিকে-আমি হয় ত বিধবাও নাহি। তবে আমি কি ? আমি কিছুই নাহি ; আমি মানুষের বাহিরে গেলাম যে ! স্বাক্স, কাকাআমার জন্য কি কষ্টই না নীরবে সহ করিতেছেন ; মা আমার সৰ্ব্বদা বিষন্ন, আমার মুখের দিকে চাহিতে পারেন না ; আমার স্নেহময়ী কাকীমা আমার কাছে বসিয়া কঁাদেন ; পাছে কেহ আসিয়া পড়ে, ভয়ে চক্ষের জল মুছিয়া ফেলেন। কেহ। একটা সাম্বনার কথাও আমাকে বলেন না,—সবাই চুপ করিয়া গিয়াছেন। এমন করিয়া জীবন যাপন করা যে বড়ই কষ্টকর। কিন্তু কি করিব ? এক পথ,--আত্মহত্যা করিয়া সকল যন্ত্রণার অবসান করা । আত্মহত্যা ? না, না-তাহো আমি পারিব না । সে যে মহাপাপ-সে। পাপের প্রায়শ্চিত্ত নাই। কি পাপে এই ফল ভোগ করিতেছি ; তাহার উপর আবার আত্মহত্যা করিয়া আরও মহাপাপ সঞ্চয় করিব । না, তাহ পারিব না। এই যন্ত্রণা, এই অন্তৰ্দাহ নীরবে ভোগ করাই আমার অদৃষ্টলিপি। বাবা বলেন, “মা লক্ষ্মী, একটু একটু শাস্ত্রালোচনা কর, শরীর মন ভাল হইবে।” তা পারি কৈ ? কিছুই যে ভাল লাগে না-কিছুতেই যে মন যায় না। আমার শরীর যে কলুষিত হইয়াছে-আমি যে এখন N8