পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“অ্যা, কি বলছি তুমি বড় বীে ! তুমি পাগল হ’লে না কি। তাও কি কখন হয়—এও কি সম্ভব।” “ঠাকুর পো, আমার ভুল হয় নাই। আজ এই চার মাস আমি দিনরাত দেখে আসছি। আমি যা বলছি তাই ঠিক । লক্ষ্মী সুধুই বলে আমার পেটের মধ্যে যেন কেমন করে। হতভাগী কিছুই তা বুঝতে পারে নাই। তুমি তার মুখের দিকে, তার চেহারার দিকে ভাল ক’রে চেয়ে দেখ, তা হলেই জানতে পারবে।” হরেকৃষ্ণ যেন আকাশ হইতে ভূতলে পড়িলেন। কিছুক্ষণ তিনি কোন কথাই বলিতে পারিলেন না ; সমস্ত পৃথিবী তঁহার চক্ষের সম্মুখে ঘুরিতে লাগিল। একটু প্ৰকৃতিস্থ হইয়া তিনি বলিলেন, “বড় বেী, এখন উপায় ! সত্যিই তা জাত মান সন্ত্রম সব যায়, সমাজে যে মুখ দেখান। যাইবে না । দাদাকে এ কথা আমি কেমন করিয়া বলিব । প্ৰাণ থাকতে ত এমন ভয়ানক কথা আমি দাদাকে বলতে পারব না বড় বীে ! লক্ষ্মী বোধ হয় কিছুই বুঝতে পারে নাই।” বড় গিামী বলিলেন, “না, সে কি করে বুঝবে!” হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “আমার যে বুদ্ধিাশুদ্ধি সব লোপ পেয়ে গিয়েছে । হায় মা দুৰ্গা, এ কি বিপদে ফেলিলে ? উদ্ধারের যে কোন উপায়ই দেখি না । এরূপ কথা শোনার চাইতে লক্ষ্মী সেই কাল রাত্ৰিতে মাঠের মধ্যে মরল না কেন ? তাকে খুঁজে আনতে গেলাম কেন ? তাকে ঘরে এনে বঁাচালাম কেন ? এখন যে সব যায় বড় বীে, সব যায়।” ”. এই বলিয়া হরেকৃষ্ণ বালকের মত কঁাদিয়া ফেলিলেন । SS