পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারবে না’, অমনি করেই ছেলেটার মাথা তিনি খেলেন। আর এই বুড়ে বয়সে কোথায় ঠাকুর-দেবতার নাম করব, তীর্থধৰ্ম্ম করব,-না, অল্পচিস্তাতেই দিন কেটে যায়। তা তোমার ও-সব বাঁলাই নেই ; লক্ষ্মণের মত ভাই, অমন ছেলে আমাদের এ অঞ্চলে নেই। তারপর ঐ একটী মেয়ে ; একটা দেখেশুনে বিয়ে দিতে পারলেই আর চাই কি । তা বেশ সঙ্কল্প করেছ। এদিকে ত দেখলে, চেষ্টাও করলে, কোন সুবিধে হোলো না । কাশীতে যাও, সেখানে দেখেশুনে একটা বিয়ে দিয়ে ফেলো। আর লক্ষ্মীর শরীরও খারাপ হয়েছে ; এখানে ত অনেক চিকিৎসাপত্র করলে ; কিছুই হোলো না। স্থান-পরিবর্তনে ওর শরীরও অমনিই সেরে যাবে ।” বড় কৰ্ত্তা বলিলেন, “সেইজন্যই ত কাক আরও তাড়াতাড়ি করছি ; নইলে আরও কিছুদিন পরেই যেতাম।” ভট্টাচাৰ্য্য বলিলেন, “না, না, ও সব সৎকাৰ্য্যে কি দেৱী করতে আছে। মনে যখন হয়েছে, বাবা বিশ্বনাথ যখন সুমতি দিয়েছেন, তখন আর কালবিলম্ব করে না-শুভস্য শীঘ্রম।” বড় কর্তা বলিলেন, “কাকা, হরেকৃষ্ণ ছেলেমানুষ ; বয়স ৩২ বছর হলে কি হয়, এখনও ওকে আমি ছেলেমানুষ মনে করি। ওকে সৰ্ব্বদা দেখবেন ; আপনার উপর ওর ভার দিয়ে গেলাম।” ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় বলিলেন, “সেজন্য তুমি ভেব না। রাম, এই ত এতদিন দেখে আসছি, হরেকৃষ্ণই ত ইদানী সবই করছে। জমিজমা দেখাশুনো, শিষ্যযজমান রক্ষা-সে সবই ত এখন হরেকৃষ্ণই NeY