পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিবর্তনে শরীর ভাল হতে পারে ; সেই জন্যই দাদাকে তাড়াতাড়ি কাশী যেতে হচ্ছে।” কাশী যাওয়ার ব্যবস্থা সকলেই অনুমোদন করিলেন, ইহাতে হরেকৃষ্ণ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিলেন ; প্ৰকৃত কারণ সম্বন্ধে কাহারও মনে যে সামান্য সন্দেহেরও উদ্রেক হয় নাই, ইহাতেই তিনি আশ্বস্ত হইলেন । তাহার পর প্রতিবেশী স্ত্রীলোকেরাও যে এ বিষয়ে কোন প্ৰকার বাদানুবাদ করিলেন না, ইহাও পরম সৌভাগ্য বলিয়া হরেকৃষ্ণ নিশ্চিন্ত হইলেন। পুরুষদের সম্বন্ধে র্তাহার তত ভয়ের কারণ ছিল না ; কিন্তু পল্লীবাসিনী স্ত্রীলোকেরা বড় সহজে, ভাল ভাবে কোন কথা গ্ৰহণ করেন না ; পাছে তাহারা লক্ষ্মীর অবস্থা সম্বন্ধে কোন সন্দেহ করিয়া এই হঠাৎ কাশী যাওয়ার কথা লইয়া একটা আন্দোলন সৃষ্টি করিয়া বসেন, এই ভয়ই হরেকৃষ্ণের মনে প্ৰধান হইয়াছিল। কিন্তু তাহা না দেখিয়া তিনি আপাততঃ শান্তি বোধ করিলেন। তাহার পর ;-দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া হরেকৃষ্ণ মনে মনে বলিলেন, “তাহার পর, যাহা অদৃষ্ট থাকে, তাহাই হইবে। হায় অভাগী লক্ষ্মী ! কোন প্ৰাণে তোকে চিরদিনের জন্য বিদায় দেব মা ! বাবা বিশ্বনাথ ! লক্ষ্মীকে এ বিপদ থেকে রক্ষা কর! তাকে যেন আবার ঘরে ফিরে আনতে পারি।” কিন্তু কেমন করিয়া সে আশা সফল হইবে, তাহা চিন্তা করিয়াও তঁহার হৃদকম্প হইল। সেই দিনই শিষ্যদিগকে পত্র লেখা হইল ; কাশী যাওয়ার দিন স্থিরও হইয়া গেল। তিন চারিদিন পরেই অনেক শিষ্য আসিয়া \9(