পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- vঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের এস্থাৰগাঁ । • ९१ এইরূপে হিন্দুরাম শুদ্ধাচার রেখে। না পায় মুখের আলো অন্ধকারে থেকে। কোথায় নেটব লেডী বলি শুন সবে। পশুর স্বভাবে আর কত কাল রবে ? ধন্ত রে বোতলবাসী ধন্ত লাল জল । ধন্য ধন্ত বিলাতের সভ্যতার বল ॥ দশী কৃষ্ণ মানিনাকো ঋষিকৃষ্ণ জয় । মরিদাতা মেরিসুত বেরিগুড বয় ॥ ঈশ্বর-পরম-প্রেম স্পর্শ করে যাকে । ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম ভেদাভেদ জ্ঞান নাহি থাকে। যা থাকে কপালে ভাই টেবিলেতে ধাব । ডুৰিয়া ডবের টবে চ্যাপেলেতে যাব ৷ কাটা ছুরী কাজ নাই কুেটে যাবে বাবা। দুই হাতে পেট ভোরে থাবো থাবা থাবা ৷ পাতরে খাব না ভাত গোটুহেল কালো। হোটেলে টোটেল নাশ সে বরণ ভালো ॥ পূরুিবে সকলে আশা ভেবনারে লোভ। এখনি সাহেব সেজে রাখিব না ক্ষোভ ॥ {* * আনারস । বন হতে এলো এক টিয়ে মনোহর । সোণার টােপর শোভে মাথার উপর । এমন মোহন মূৰ্ত্তি দেখিতে নাপাই। অপরূপ চারুরূপ অমুরূপ নাই। $३९ শু্যামল রূপ, চক্ষু সব গায়। নীলকান্ত মণিহার, চাদের গলায়। কল নয়ন-মাৰে,রক্ত-আভা আছে। বাধ হয় রূপসীর চক্ষু উঠিয়াছে ॥ চাৰুক স্বভাবে ভাবে, করে অনুরাগ। বলে ও যে রাঙ্গা নয়, নয়নের রাগ। দীপের সহিত গুণ, সমতুল হয়। । ইৰাসে আমোদ করে, ত্ৰিভূবনময়। নাহি কুরে মুখভঙ্গী, কথা নাহি কয়। ীেরভাগৌরবে দেয়, নিজ পরিচয়। بیا চপল রূপের কাছে, হয় চমৰিত। দৃষ্টমাত্র ফুল্ল গাত্র, নেত্র পুলকিত । ংশয় হয়েছে দেখে, সকলের মনে। কে কামিনী, একাকিনী, বাস করে বনে ? লোকে বলে আনারস, আনারস নয়। আনা রস হলে কেন জানা রস হয় ? তারে তার জানা যায়, রস ষোল আন । অরসিক লোক তবু, বলে তারে আন । , ফেলিয়া পনর অtলা, এক আনা রাখে। এই হেতু ‘আমারস” বলে লোক তাকে ॥ অরসিক নাছি করে, রসেতে প্রকাশ। আনাতেই ষোল আনা, না জানে বিশেষ । কোথা বা আনার রস, এ আনার কাছে ? ক্ষুদ্র দামে খেতে পাই, এত টুকি গাছে৷ বেদান তাহার নাম, দানা যায় ভরা। কেমনে হইবে সেই, সৰ্ব্বমনোহর ? রস যত, যশ তত, বেদানায় আছে। আমাদের কাছে নয়, ধনীদের কাছে। এক অধিসের খায়, আছে যার ধন। কুবেরের হলে মন, নাহি পায় মণ ॥ " মনে মনে কত মণে, আশার উদয় । ফলে ফলে কোন কালে, মণ নাছি হয়। প্রয়োজন নাহি তার, এখানেতে এসে । মঙ্গল করুন তিনি, মঙ্গলের দেশে। আমাদের আনারসে, ষোল আন মুখ । দরিদ্রের প্রতি তিনি, না হন বিমুখ। আনা দরে আনা যায়, কত আনারস । অনায়াসে করি রসে, ত্ৰিভুবন বশ ॥ ক্ষীরোদ নহ তো তুমি, নহ মুধাকর । তবে কিসে মৃধভির, তৰ কলেবর ? পুণ্যবতী কেবা আছে, তোমার সমান ? মৃত হয়ে লোকেরে অমৃত কর দান ॥ পঞ্চানন পঞ্চমুখে নাহি করে সীমা। এক মুখে কি কহিব তোমার মহিমা ।