R ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবনচরিত। ৰুৱাইয় দিলে, তিমি স্থির করিলেন যে এ “কেল কা ফুল।” রাগে সৰ্ব্বাঙ্গ জ্বলিয়া যায়, যে এখন আমরা সকলেই মোচা তুলিয়া কেলা কা ফুল বলিতে শিখিয়াছি। তাই আজ ঈশ্বর গুপ্তের কবিতা সংগ্ৰহ করিতে ৰসিয়াছি। আর যেই কেল কা ফুল বলুক, ঈশ্বর গুগু মোচ। বলেন । * * - একদিন বর্ষাকালে গঙ্গাতীরস্থ কোন ভবনে বসিয়। ছিলাম। প্রদোষকাল-এন্ধটিতৃ চন্দ্রালোকে বিশাল বিস্তীর্ণ ভাগিরথী লক্ষবীচিবিক্ষেপশালিনী—মৃদ্ধ পবনছিল্লোলে তরঙ্গভঙ্গচঞ্চল চন্দ্রকরমাল৷ লক্ষ তারকার মত ফুটিতেছিল ও নিবিড়েছিল। যে বরেণ্ডায় বসিয়াছিলাম তাছার নীচে দিয়া বর্ষার তীব্রগামী বারিাশি মৃদুরব করিয়া ছুটিতেছিল। আকাশে নক্ষত্র, নদীবক্ষে নৌকায় আলো, তরঙ্গে চন্দ্ররশ্বি ! কাব্যের রাজা উপস্থিত হইল। মনে করিলাম, কবিতা পড়িয়া মনের তৃপ্তি সাধন করি। ইংরেজি কবিতায় তাহ হইল না—ইংরেজির সঙ্গে এ ভাগিরথীর ত কিছুই মিলে না। কালিদাস ভবভূতিও অনেক দূরে। ' ' , মধুস্থদন, হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র, কাছাতেও তৃপ্তি হইলু না। চুপ করিয়া রছিলাম। এমন সময়ে গঙ্গাবক্ষ হইতে মধুর সঙ্গীত ধ্বনি শুনা গেল। জেলে জাল বাহিতে রাহিতে গায়িতেছে— ·
পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবনচরিত ও কবিত্ব.djvu/১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।