১২ ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবনচরিত। সাধারণ্যে সমাদৃত পাঁচালী, কবি প্রভৃতিতে যোগদান এবং সংগীত রচনা করিতে পারিতেন। ঈশ্বরচন্দ্রের পিতা ও পিতৃব্যদিগের সংগীত রচনা শক্তি ছিল। বীজ গুণে নাকি অনেক আশ্চর্য ঘটনা ঘটে। ৷ ε? কিন্তু পাঠশালায় ীিয়া লেখা পড়া শিখিতে ঈশ্বরচন্দ্র মনোযোগী ছিলেন না। কখনও পাঠশালায় যাইতেন, কখনও বা টে। টো করিয়৷ খেলিয় বেড়াইতেন। এ সময়ে মুখে মুখে কবিতা রচনায় তৎপর ছিলেন। পাঠশালার উচ্চশ্রেণীর ছাত্রের পারস্য ভাষার যে সকল পুস্তক অর্থ করিয়া পাঠ করিত, শুনিয়া, ঈশ্বর তাহার এক এক স্থল অবলম্বন পূর্বক বাঙ্গালী ভাষায় কবিতা রচনা করিতেন। ঈচরচন্দ্রকে লেখা পড়া শিক্ষায় অমনোযোগী দেখিয়, গুৰুজনের সকলেই বলিতে, ঈশ্বর মূর্ধ এবং অপরের গলগ্ৰহ হইবে। চিরজীবন অন্নস্ত্রের জন্ত কষ্ট পাইবে। সেই অনাবিষ্ট বালক সমাজে লব্ধপ্রবিষ্ট হইয়াছিলেন। আমাদের দেশে সচরাচর প্রচলিত প্রথানুসারে লেখা গড় না শিখিলেই ছেলে গেল স্থির করা যায়। কিন্তু ক্লাইব বালককালে কেবল পরের ফলকরা চুরি করিয়া বেড়াইতেন, বড় ফুেড়িক বাপের অবাধ বয়াটে ছেলে ছিলেন, এবং আর আর অনেকে এইরূপ ছিলেন। কিন্বদন্তী আছে, স্বয়ং কালিদাস নাকি বাল্যকালে ঘোর মূখ ছিলেন ।
পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবনচরিত ও কবিত্ব.djvu/২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।