২১৮ কবিতাসংগ্রহ } কি করিব, কোথা যাই, বাক্য নাছি ফুটে । অত্যাচারে দুরাচার, রাজ্য নিলে লুটে । ঘোর দায় সন্ধুপায়, নাহি পায় বীর । অনেক ভাবিয়া শেষ, যুক্তি করে স্থির ॥ প্রিয় বন্ধু বর্ষীরাজ, ধৰ্ম্মশীল অতি। অবশ্য করিবে কৃপা, আমাদের প্রতি ॥ এ বিপদে রক্ষাকৰ্ত্তা, আর কেবা আছে । এই ভেবে উপনীত, বরষার কাছে ॥ - কাপুনী হিমানী দুই, প্রিয়তম নিয়া । দুঃখের কাহিনী সব, কহিলেন গিয়া ॥ বরষা আহবান করি, আলিঙ্গন দিয়া । রাণী সহ বসিলেন, সিংহাসনে গিয়া ॥ বস বস স্থির হও, শান্ত কর মন । দেখিব কেমন সেই, দাস্তিক দুর্জন । একেবারে বসন্তেরে, প্রাণে কোরে বধ । তোমারে করিব দান, পৃথিবীর পদ ॥ যখন তোমার রাজ্য, কোরেছে হরণ । তখন জানিবে তার, নিশ্চয় মরণ ॥ জলদেরে ডাক দিয়া, করেন আদেশ | ধরণীমণ্ডলে তুমি, করহ প্রবেশ ॥ অধাৰ্ম্মিক বসন্তেরে, করিয়া নিধন । শীতরাজে দেহ গিয়া, নিজ সিংহাসন ॥
পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবনচরিত ও কবিত্ব.djvu/৩১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।