ভাষাতত্ত্ববিদ্ পণ্ডিতেরা বলেন, বৃহৎ সমুদ্র, অত্যুচ্চ দুরারোহ পর্ব্বতশ্রেণী, অগম্য নিবিড় অরণ্যামী, পরাক্রমশালী বুদ্ধি বিদ্যা সম্পন্ন বিশিষ্ট জাতির উপনিবেশ, রীতি নীতি, ধর্ম্মজ্ঞান ও শিক্ষার উন্নতি, এক প্রদেশীয় ভাষাকে অন্য প্রদেশীয় ভাষা হইতে পৃথক করিবার কারণ হইতে পারে; কিন্তু স্পষ্টাক্ষরে ভাষা-বিভাগের প্রকৃত কারণ নির্দ্দেশ করিতে পারা যায় না। যাহা হউক, ভাষাতত্ত্বানুসন্ধিৎসু ব্যক্তির পূর্ব্বোক্ত কারণগুলিকেই ভাষা-বিভাগের এক প্রকার প্রকৃত কারণ বলিয়া স্বীকার করেন।
অনেকে উড়িয়া ও বাঙ্গালাকে বিভিন্ন ভাষা কহেন; এই দুই ভাষা বাস্তবিক বিভিন্ন কি না এই বিষয়ের মীমাংসাই এই ক্ষুদ্র পুস্তকের উদ্দেশ্য।
ভারতের ভাষা পরিবর্ত্তন বিষয়ে, ভাষা-বিভাগের চতুর্থ কারণ সংঘটিত হইয়াছে দৃষ্ট হয়। ইহা সর্ব্ববাদিসম্মত ও একপ্রকার সিদ্ধান্তিত হইয়া আসিয়াছে যে, আর্য্যজাতি কোন এক সময়ে ভারতবর্ষে গঙ্গার সমীপ-