তত নাই, কারণ মোগল ও পাঠানেরা দিল্লী প্রভৃতি স্থানেই বহুল সংখ্যায় বসতি করিতেন; বাঙ্গালা প্রভৃতি স্থানে তাহদের অতিরিক্ত সমাগম ছিল না বলিয়া উহাতে ঐ সকলের অতি অল্প ভাঁজ দেখা যায়।
প্রাকৃতিক বিভাগ ও কৃত্রিম বিভাগ এ উভয়ের অনেক অন্তর। প্রাকৃতিক ব্যাপারের পরিবর্ত্ত সাধনে মনুষ্য কখনই সক্ষম হইতে পারেন না। এক্ষণে অনেকে কহিয়া থাকেন যে, উত্তরে পূর্ণিয়া ও দিনাজপুর ইহার মধ্যে অন্যতর স্থান হইতে অবরন্ধ হইয়া, পূর্ব্বে মণিপুর পাহাড়, পশ্চিমে রাজমহল গিরি ও দক্ষিণে সুবর্ণরেখা নদী এই চতুঃসীমাবর্ত্তী স্থান বাঙ্গালা ভাষার স্থান; আর সুবর্ণরেখা হইতে আরম্ভ হইয়া সমুদ্রের উপকূলবর্ত্তী গঞ্জাম পর্য্যন্ত প্রায় সমুদয় ভূভাগ ও অপর দিকে বলেশ্বরের সমীপ-বাহী নীলগিরি নামে অপর এক গিরি, ইহার মধ্যবর্ত্তী স্থান উড়িয়া ভাষার স্থান। কিন্তু পূর্ব্ব-কথিত তাম্বা বিভাগের হেতু-ভূত প্রাকৃতিক ব্যাবস্থানুসারে এরূপ বিভাগ কখনই হইতে পারে না। উত্তরে হিমালয় প্রদেশ, পূর্ব্বে মণিপুর পাহাড় ও বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণে গঞ্জাম-সমীপবর্ত্তী দীর্ঘে ৪২ মাইল