ও প্রস্থে ১৫ মাইল বিস্তৃত বৃহৎ চিলকাহ্রদ, ও পশ্চিমে রাজমহল গিরি ও দক্ষিণ-পশ্চিমবাহী নীলগিরি নামে যে অপর এক গিরি প্রায় ঘাট-পর্ব্বতের নিকটবর্ত্তী হইয়াছে, ইহারই মধ্যবর্ত্তী দুর্লঙ্ঘ্য পর্ব্বত ও সাগরাদি পরিবেষ্টিত সকল স্থান, প্রাকৃতিক বিভাগানুসারে একই ভাষার স্থাম বলিয়া গণ্য হইতে পারে। ইহার বিলোপ কোন মতেই যৌক্তিক হইতে পারে না। ঐ স্থান সকলের মধ্যে ধর্ম্ম এক এবং রীতি নীতি আচার ব্যবহারও এক। ফলতঃ এরূপ কোন নৈসর্গিক কারণই দেখা যায় না যে, পূর্ব্বোক্ত প্রাকৃতিক সীমান্তবর্ত্তী স্থানের ভাষাকে পৃথক্ পৃথক্ করে। ভাষাতত্ত্ববিদ্ পণ্ডিতদিগের ভাষা-বিভাগের সমস্ত লক্ষণানুসারেই এই সমুদায় স্থানের অর্থাৎ বাঙ্গালা ও উড়িষ্যার ভাষা একই হওয়া উচিত। বাস্তবিকও তাহাই, উড়িয়া ও বাঙ্গালা স্বতন্ত্র ভাষা নহে।
ভাষাতত্ত্ববিদ্দিগের মতানুসারে পূর্ব্ব-নিরূপিত সীমান্তবর্ত্তী স্থান সমূহ একই ভাষার স্থান বলিয়া প্রতীতি হয়। বাস্তবিক্ষও ঐ সকল স্থানে একই অর্থাৎ বাঙ্গালা ভাষা প্রচলিত। তবে যে উহার কোন হইতে কিছু বিভিন্ন বলিয়া বোধ হয়, তাহার কারণ