( २२ ) সুবর্ণরেখার দক্ষিণে সদা প্রচলিত শব্দ । লোকে কহিয়া থাকে “যোজমান্তে পৃথক কথা”, আমরা স্বস্থান হইতে যত দূরবর্তী হই ততই এইবাক্য সপ্রমাণ হয়। বিদূরবর্তী হইলে দৃষ্ট হয় যে, স্বস্থান-দূরস্থিত স্থান সকলের কি স্বর-বিকৃতি, কি প্রচলিত শব্দ এত বিভিন্ন যে, উহা শুনিলে আপাততঃ এক বিজাতীয় জ,ভির ভাষা বলিয়া বিবেচিত হয় । কিন্তু অভিনিবেশ পূর্বক বিবেচনা করিয়৷ দেখিলে আর ওরূপ বোধ থাকে না। পূর্বে যেরূপ কথিত হইয়াছে, বিভিন্ন জাতির অত্যন্ত নিকট সংস্রবে এক জাতির ভীষণকে অনেক অংশে পৃথক করিয়া তুলে, তদ্রুপ তার এক বিশেষ কারণেও এক জাতির ভীষণকে স্থান ভেদে পরম্পর বহু অংশে পৃথক বলিয়। আপাততঃ প্রতীতি করাইয় দেয়। অজ্ঞ লোক, প্রচলিত প্রকৃত শব্দ গুলিকে শুদ্ধ রূপে উচ্চারণ করিতে পারে না ; উহার হ্রস্ব স্থানে দী , ও দীর্ঘ স্থানে হ্রস্ব করিয়া ফেলে, এবং সাধুশব্দ সকলের অবয়ব গত কোন কোন অক্ষরও বিলুপ্ত করিতে থাকে। এইরূপে ক্রমে ক্রমে কালের সহায়তা ও জ্ঞানের বিলোপে স্থানে স্থানে অনেক সাধু শব্দভিন্ন ভিন্ন রূপে বিকৃত হুইয়া ভাইসে। এক্ষণে মুবর্ণরেখার দক্ষিণে প্রচলিত ঐ রূপ কতকগুলি অপভ্রষ্ট শব্দের সমালোচনী ' করা যাইতেছে। দেখা যাউক উছারা বস্তুত: বাঙ্গাল বা ভদপভ্রস্ট কি না ?
পাতা:উড়িয়া স্বতন্ত্র ভাষা নহে.djvu/৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।