পাতা:উড়িয়া স্বতন্ত্র ভাষা নহে.djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( १७ ) গুলি শব্দ ও বাক্য উদ্ধত করা যাইতেছে ; দৃষ্ট হইবে বিশুদ্ধ বাঙ্গtল ঐ অঞ্চলে কত পৃথকৃ আকার ধারণ করিয়াছে ; উছাদিগকে কেহই বাঙ্গাল ভিন্ন অবান্তর ভাষা কহেন না । উড়িষ্য বাঙ্গালীর মিকৃষ্টাংশ ; এ অংশে কি ঐরুপ অপভ্রংশ ভাব থাকা সম্ভব লাহে ? পূৰ্ব্বদেশবাসীরা অনুনাসিক বর্ণ সহজে উচ্চারণ করিতে পারে না, তাহারা বঁাশ স্থানে ৰাশ, আজ্ঞা । জ্ঞাঙ্গাগ্যে কহিয়া থাকে। উছারণ কথিত শব্দের kএকার স্থানে আকার ব্যবহার করে, যেমন খেয়েছে—খায়েছে, বেলেবাড়ী-বানেবাড়ী, এ ড়েগক আগড়েগৰু ইত্যাদি। উহার পদন্তি ও পদমধ্যস্থ ক ও থ বর্ণের উচ্চারণ ছ বা অবর্ণ বৎ করিয়া থাকে, যেমন, পাক-পাহ, টাকা-টছ, ইত্যাদি । উহার পদের আদিস্থিত হকারের উচ্চারণ প্রায়ই অকণরবৎ করিয়া থাকে যথা ইরি—অরি, হবে-আবে ইত্যাদি। উহার চকারের উচ্চারণ অনেক স্থানেই পকার বৎ করিয়া থাকে, যথা, থাকবে থাকপে, আসবে -আসপে ইত্যাদি। উহার বর্গের চতুর্থ বর্ণকে তৃতীয় বর্ণবৎ উচ্চারণ করে যথা, ঘর-গর, ভদ্র-বত্র, ইত্যাদি। এবং উহার শকার স্থানে হকার উচ্চারণ করে যথা, শ্বশুর-ছশুর, শ্যালঃছাল ইত্যাদি। এভদ্ভিন্ন পূৰ্ব্বদেশে এমন অনেক শব্দ প্রচলিত আছে যাহা বিশুদ্ধ বাঙ্গালা ছইতে অনেক পৃথক ; ঐ দেশীয়ের, তিনি যাত্রা করিলেন, এস্থলে তিনি মেলা করিলেন, এরূপ কহিয়া থাকে ; উছার