পাতা:উড়িশ্যার ইতিহাস.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

› : በ ১৭ ৮৭ শকাব্দের ফুর্ভিক্ষ । * श्य অশেষ ক্লেশ ঘটাইয়াছে। যাহার এই দেশের প্রাকৃতিক ধর্মের বিষয় অবগত আছেন, তাহার অনায়াসেই অনুভব করিতে পারেন যে, কি কারণে এখানে সৰ্ব্বদাই এপ্রকার অমঙ্গল ঘটিয়া থাকে । এই পুস্তকের প্রথমাধ্যায়ে লিখিত হইয়াছে যে, পশ্চিমস্থ পৰ্ব্বত শ্রেণীর পদতল হইতে সমুদয় দেশটা এক বন্ধুর ক্রমনিক্স ধরাতলের ন্যায় সাগরেণপকুল পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত আছে । ইহা হইতে অনায়াসেই উপলব্ধি হইতে পারে ষে, এই দেশে সহজেই জলকষ্ট হয় সুতরাং স্বরটির অভাবে শস্যের অনেক বিঘ্ন ঘটিয়া থাকে, আবার প্রচও পূর্ব বাত্য উপস্থিত হইলেই সমুদ্রজল দেশের মধ্যে উথিত হইয়া সমস্ত উপকুলভাগ ধৌত করিয়া ক্ষেত্রস্থ সমুদয় শস্য বিনষ্ট করিয়া ফেলে । ইদানীন্তন বাণিজ্যের প্রাদুর্ভাব বশত অনেক দেশের উপকার দশিয়াছে, কিন্তু উড়িশা প্রভূতি কতিপয় স্থানের পক্ষে তাহা যে মঙ্গলকর হয় নাই, ইহা বর্তমান দুর্ভিক্ষে প্রমাণিত হইয়াছে । বাণিজ্যের প্রাদুর্ভাব বশত বর্ষে বর্ষে এই দেশ হইতে লক্ষাধিক মণ ধান্য দেশান্তরে সমুদ্র পথে প্রেরিত হইয়া থাকে, কিন্তু এখনকার সমুদ্রের গতিতে বৎসরের মধ্যে কেবল তিন মাস এদেশের সহিত অপর দেশের বাণিজ্য চলিতে পারে, তাহার পর এখানকার কোন বন্দরে অর্ণবপোত