পাতা:উড়িশ্যার ইতিহাস.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ অ ] যজাতি কেশরী—শ্ৰীমূর্তিপুনর্গঠন । স্কৃত করিয়া দিয়া দেশের উদ্ধার করিয়াছিলেন । 'যাজপুর নগরে তাহার রাজধানী ছিল এবং তথায় চোঁদুয়ার নামে এক রাজপ্রাসাদ ও দুর্গ প্রস্তুত করেন , তাহার রাজ্য শাসন সময়ে জগন্নাথদেব পুনরায় শ্ৰীমন্দিরে অভিষিক্ত হন । কথিত আছে যে, তিনি দৈব বলে, যে স্থানে শ্ৰীজিউ প্রোথিত ছিলেন তাহ জানিতে পারিয়া সেই স্থানের বটবৃক্ষ ਚੋਂਕ পূর্বক তাহাকে উদ্ধৃত করিয়া দেখিলেন যে, মুর্তি ক্ষত বিক্ষত ও জীর্ণ হইয়াছে; তদনন্তর তিনি পূৰ্ব্ব সেবকগণের উত্তরাধিকারীদিগের অনুসন্ধান করিয়া রতনপুর প্রদেশ হইতে তাহাদিগকে জানাইয়া জগন্নাথদেবের সেবা পূৰ্ব্বানুরূপ গৌরব সহকারে অনুষ্ঠিত করিবার বিষয়ে বিবিধ সদ্বযুক্তি করিয়া নূতন মুৰ্ত্তি প্রস্তুত করিতে কৃতনিশ্চয় হইলেন । যাজকের অরণ্য মধ্যে গিয়া শাস্ত্রেণক্ত বিবিধ লক্ষণযুক্ত এক দাৰু সন্ধান করিয়া তদ্বারা নুতন শ্রীমূর্তি প্রস্তুত করাইয়া অবিলম্বে রাজসন্নিধানে আনয়ন করিল ; রাজা পূৰ্ব্ব দেউলের অনতিদূরে এক নুতন দেউল প্রস্তুত করাইলেন এবং নুতন ও পূৰ্ব্বতন মূৰ্ত্তি উভয়ই বহুমূল্য রত্ন ও পরিচ্ছদে বিভূষিত করাষ্ট্রয় তাহার রাজত্বের ত্রয়োদশ বর্ষে কর্কট মাসের পঞ্চম দিবসে শুভ লগ্নে অতি সমারোহ পূর্বক পুনবর্বর সিংহাসনে স্থাপন করাইলেন ; সৰ্ব্বত্র উৎসব