পাতা:উড়িশ্যার ইতিহাস.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬• পুরুষোত্তমসহ পদ্মাবতীর ৰিৰাহে কাঞ্চীপত্তির জগন্মত জ জাচার ব্যবহার বিষয়ে কিঞ্চিৎ অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন । অল্পকাল মধ্যে জানিতে পারিলেন যে, জগন্নাথদেবের রথযাত্রার উপলক্ষে মন্দির হইতে উীমূৰ্ত্তি বহিস্করণ সময়ে, রাজাকে চণ্ডাল অর্থাৎ সম্মার্জকের কার্ষ্য করিতে হইত। কাঞ্চী নগরাধিপতি গণেশের উপাসক, সুতরাং উৎকলের উপাস্য দেবতা স্ত্রীজগন্নাথের প্রতি র্তাহার অত্যপ ভক্তি ছিল । পূৰ্ব্বোক্ত হীন ব্যবহার ক্ষত্ৰিয় বংশীয় উৎকলরাজার অযোগ্য ও অপমানজনক বিবেচনা করিয়া তিনি ঐ বিবাহসম্বন্ধে অনুমোদন করিলেন না । উৎকলরাজ এই কথা শুনিয়া ক্রোধাম্বিত হইয়া পণ করিলেন যে, তিনি পঘিনীকে বলপূর্বক হরণ করিয়া এক প্রকৃত চণ্ডালের হস্তে সমর্পণ করিবেন । এইরূপ প্রতিজ্ঞারাঢ় হইয়া তিনি সৈন্য সমবেত করিয়া কাঞ্চীনগর আক্রমণ করিতে যাত্রা করিলেন ; কিন্তু উহাকে তথা হইতে পরাভূত হইয়া প্রত্যাগমন করিতে হইল । পুৰুষোত্তম স্বীয় রাজ্য মধ্যে আসিয়া জগন্নাথদেবের পদতলে দণ্ডবং পতিত হইয়া এই নিবেদন করিলেন যে, “শক্ৰকর্তৃক অবমাননায় আমি যে উপাস্য দেবের ভক্ত র্তাহারই অগৌরব হইল, অতএব হে দেব, আপনি সহায় হউন, অামি এই অপমানের প্রতিফল প্রদান করিয়া অগপনার মাহাত্ম্য রক্ষা করি ” এই প্রকারে বিনয় বচন