পাতা:উত্তরণ - গোবিন্দ চক্রবর্ত্তী.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাতাসের অন্তহীন রোল— সযত্ন আঙুলে ধরে মৃত্যুর মতন ক’লে একে দাও ঘুমের কাজল, একটি চুম্বন দাও নিবিড়, নিটোল জরতপ্ত এ ললাটে । জীবনের ভাঙা হাটে— ঘাটে ঘাটে, মাঠে মাঠে, বাটে-বাটে আর তুফানে তুমুল হোক অশ্রুশ্লোক রাত্রিলোক—এ ভরা আষাঢ় । অনাদি রাত্রির আগে ভুলে-যাওয়া কোন এক কোটি-বর্ষ যুগে কোনদিন মেঘ-লীন এমনি বর্ষায় ; দেখা হয়েছিলো বুঝি তোমায় আমায় । তোমার চুলের স্রোতে তারপরে বয়ে গেছে কত দীর্ঘকাল— দেখেছি কালেব রূপ বীভৎস, ভয়াল : ধরিত্রীর বুক ফুড়ে ক্লান্ত দীর্ঘশ্বাস, শান্তির সনদ নিয়ে স্বাক্ষর-বিলাস, বোমা-চষা ধানক্ষেত, মৃত্যুক্ষরা নীলাকাশ—ঈগল, শ্যেনের হানা চক্রবৃহজাল । বারবার অবরোধ, প্রতিরোধ, প্রতিশোধ—পথে-পথে স্তুপীকৃত করোটকঙ্কাল শুধু রুজি, রোজ আর প্রাণধারণের করেছি লড়াই— ভেবেছি, ভেবেছি মনে—এ জীবনে কোনো ক্ষণে আর কিছু নাই । কিছু নাই’; দুটি কথা; কেঁপে কেঁপে ওঠে আজ অশ্রুর দোলায়— কিছু নাই': মিছে কথা বুঝি আজ কেঁপে উঠে তীব্র শূন্ততায়— S উত্তরণ