পাতা:উদ্ভিদের চেতনা - সত্যেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উদ্ভিদের চেতনা

 আচার্য্য জগদীশ বসুর নাম তোমরা শুনিয়াছ কি? ঢাকা জিলার অন্তর্গত বিক্রমপুর পরগণার রাড়ীখাল গ্রাম তাঁহার পৈত্রিক বাসভূমি। ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দের ৩০ শে নভেম্বর ময়মনসিংহ শহরে তাঁহার জন্ম হয়। তাঁহার পিতা ভগবান চন্দ্র বসু তখন সেখানে ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্য্য করিতেন।

 জগদীশচন্দ্র কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি, এ, পরীক্ষায় কৃতকার্য্য হইয়া উচ্চ-বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য বিলাত গমন করেন। সেখানে সসম্মানে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের উপাধি (B. A. Tripos) এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়েরও বি, এস্-সি, উপাধি লাভ করেন। ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দে তাঁহাকে কলিকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের পদার্থ-বিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত করা হয়। তখন তাঁহার বয়স ২৬বৎসর। সেই সময় হইতেই তিনি তাঁহার সমস্ত প্রাণমন বিজ্ঞানের গবেষণার জন্য, মানবের জ্ঞানভাণ্ডারে নানা রত্ন দান করিবার জন্য অক্লান্তভাবে নিয়োগ করিয়া রাখিয়াছেন। ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে যখন তাঁহার গবেষণার কথা প্রথম প্রচারিত হয়— সে আজ ৩৫ বছরের কথা। তারপর দিনের পর দিন তিনি অম্লান গৌরবে কত নূতন তথ্যসম্ভারে বাণীর মন্দির সাজাইয়াছেন, কত অভিনব উপচারে বিজ্ঞানের অর্ঘ্য রচনা করিয়া আসিতেছেন! তাঁহার প্রচারিত তথ্যগুলি বিজ্ঞানজগতে যুগান্তর উপস্থিত করিয়াছে। দূর-দূরান্তরে সংবাদ