পাতা:উদ্ভিদের চেতনা - সত্যেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উদ্ভিদের চেতনা

বৈজ্ঞানিকগণ আচার্য্যকে যে সম্মান দেখাইয়াছেন ও উচ্চকণ্ঠে যে প্রশংসা করিয়াছেন, এমনটি আজ পর্যন্ত কম লোকের ভাগ্যে ঘটিয়াছে।

 এই অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন বৈজ্ঞানিকই প্রচার করিয়াছেন— “উদ্ভিদ্ মানবজীবনের ছায়ামাত্র।” গাছ শুধু গাছ নহে, গাছে আর প্রাণিগণে কোনও প্রভেদ নাই। তিনিই উদ্ভিদ রাজ্যে এই নূতন আলোকসম্পাত করিয়াছেন। তাঁহারই কথায় বলীয়ান্ হইয়া উদ্ভিদ্‌জাতি নূতন জাগিয়াছে, নূতন সাহসে বুক ফুলাইয়া দাঁড়াইয়াছে।

 তাহাদের সাহসের মূলে কি কিছুই নাই? আচার্য্য জগদীশ কি তাহাদিগকে অমনি একটা ভুয়ো আশ্বাস দিয়াছেন? না; তিনি তাঁহার মতবাদ প্রচার করিবার সঙ্গে সঙ্গে, হাতে কলমে পরীক্ষার দ্বারা এমন সব অকাট্য প্রমাণ দিয়াছেন যে, উদ্ভিজাতিকে আর প্রাণিগণের পর্য্যায় হইতে দূরে সরাইয়া রাখিবার উপায় নাই। সেই যুগান্তকারী আবিষ্কারসমূহের ও অদ্ভুত-অথচ-সুন্দর পরীক্ষাগুলির কথা তোমরাও কিছুকিছু শুনিয়া রাখ। ভবিষ্যতে তাহা হইলে আর ইহা লইয়া উদ্ভিদের সঙ্গে নূতন করিয়া বোঝাপাড়া করিতে হইবে না।

 ‘উদ্ভিদে ও প্রাণীতে প্রভেদ নাই'— কি করিয়া পরীক্ষা করা যাইবে, এই প্রশ্ন স্বভাবতঃই মনে আসিতে পারে। পরীক্ষাটি কিন্তু তেমন কঠিন নহে। প্রধান কথাই হইতেছে