পাতা:উদ্ভিদের চেতনা - সত্যেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রাণী ও উদ্ভিদ

প্রাণিগণের বিশেষত্ব কোথায় সেইটি জানা। কোন্ গুণটি প্রাণীকে প্রকৃত প্রাণী করিয়াছে, সেইটাই আগে ঠিক হওয়। দরকার।

 বাহিরের আঘাতের উত্তরে সাড়া দেওয়াই প্রাণের লক্ষণ। এই সাড়া নানা রকমের হইতে পারে। কাহারও কথার জবাব করা যেমন সাড়া, তেমনি কেহ প্রহার করিলে চীৎকার করিয়া উঠাও সাড়া। শুধু তাহাই নহে। মার খাইয়া যদি লাফালাফি করি, কেবলি হাত-পা ছুড়ি— মুখে যদি একটু-ও শব্দ না করি, তবু সাড়া দেওয়া হইবে। তুমি যে আঘাত টের পাইয়াছ, তাহা যে-ভাবেই না কেন জানাইয়া দাও, তাহাই সাড়া। সোজা কথায় “সাড়া” ও “জানানো” একই বলা যাইতে পারে। প্রাণী মাত্রই আঘাতের সাড়া দেয়— একথা কে না জানে? যাহাদের বাকশক্তি আছে তাহারা হয় তো কেবল কথাতেই সাড়া দেয়, হয় তো বা হাত-পাও সঙ্কুচিত করে। কিন্তু কেঁচোকে আঘাত কর, মুখে কিছু বলিবে না— কুঁচ্‌কিয়া ছোট হইয়া যাইবে। ‘কেন্ন’কে আঘাত কর, গুটাইয়া গোল একটা চাক্তির মত হইবে— “টোক্কা দিলে টাকা” হইবে। এই যে ছোট হওয়া, এই যে গোল হইয়া যাওয়া— ইহাও সাড়া।

 আামাদের বাড়ীতে ছোট্ট একটি ফুট্‌ফুটে খোকা আছে— বড় অভিমানী। গালাগালি দাও, জোরে ধম্‌কি