দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে, তবু সংকটের বিভীষিকায় ম্রিয়মান হব না। আমাদের স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ গড়ে উঠছে কথায়, কবিতায়, নাটকৃতিতে এবং সাংস্কৃতিক চর্চায় এই ধ্রুবসত্য থেকে অভিনিবেশ যেন শিথিল না হয় কখনও। রণবীর লিখেছেন নিজেকে নিড়ে নিয়ে ঈশান বাংলার সাহিত্যপ্রয়াস নিয়ে। তাঁর বিবেচনায় বাংলা সাহিত্যের তৃতীয় ভুবনে প্রত্যেকেই সংস্কৃতি-যোদ্ধা। সেইজন্যে ধ্রুবপদ উনিশের বহুমাত্রিক আলোক-বিচ্ছুরণের অমূল্য নথি হিসেবে রণবীরের এই বই নিঃসন্দেহে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে ভাস্বর' থাকবে। প্রান্তিকায়িত বাঙালির অস্তিত্ব-রক্ষার সর্বাত্মক যুদ্ধে ‘উনিশে মে' বিবেচিত হোক পথফলক হিসেবে।
এক কবির বাচনে লিখি: ‘এ সমস্ত চিহ্নময় ছবি/সময় লিখেছে।’ আরও লিখি’:
‘সত্য? সে তো কেউ কেউ জানে
সবকিছু চোরাবালি, বোধের অতীত
কারুকাজ? সে তো সূর্যাস্তের আভা!
এর নাম দাও ইতিহাস
যা তুমি লিখেছ, আমিও লিখেছি’
রণবীর জানেন, ‘যজ্ঞাগ্নি প্রজ্বলন্ত রাখতে তাকে লিখতেই হবে। সময়ের হোমে তার চৌকিদারিতে ফাঁকি চলবে না। পুড়ে পুড়ে খাক হয়ে নবজন্ম হবে তার, বারবার।’
১১ মাঘ, ১৪২৮ |
|
তপোধীর ভট্টাচার্য |