‘ইচ্ছেডানা’র শ্রেষ্ঠ কবি পুরস্কার পেয়েছেন রাজীব ভট্টাচার্য। ইদানীং অণুগল্প লিখছেন।
কপোতাক্ষী ব্রহ্মচারী চক্রবর্তী মুন্নিও লিখছেন অণুগল্প, উত্তরাধিকারের উত্তম শর্ত মেনে।
উষসী দাসের লেখাও এখন দেখা যায় না, স্মার্ট লেখা 'ছু মন্তর' 'ফাঁদ' কিংবা 'আড়াই অক্ষর' গল্পে ‘অথই' এর ভাষা দারুণ।
ঋতা চন্দের লেখাও পাইনা ইদানীং। 'দাগ' ‘হারমনিয়ম’ ‘অপরাধী’ ও ‘পৃথুলার দিন’এর লেখক ন্যারেশনের নিপুণতায় গল্পশরীরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘ গল্প লেখার ঘরানায় তিনি বিশিষ্ট।
দেবযানী ভট্টাচার্য ছোটো ছোটো নকশা এঁকেছেন গল্পের আদলে, ‘সুরানা মহলে একদিন' আর 'কালো হিরে' গল্পে প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
মধ্যবিত্ত জীবনের প্রেম দৈনন্দিনতার গল্প ‘দ্বীপবাসিনী’ ‘বোবা অনুভূতি' 'বাবা থাকেন ওপারে' লিখেছেন হাইলাকান্দির মহাশ্বেতা দেব।
একসময় ‘এক ছুটির সকাল বেলা’ আর ‘উদয়াচলের পাখি’ পড়ে ভাল লেগেছিল যে কথাকারকে, সেই লীনা নাথ এখন স্বনামখ্যাত লেখক।
‘বিষাদে চৈত্রমাস’ গল্পের অপর্ণা দেব এতদিন লেখেননি কেন কিংবা লিখলেও হয়তো চোখে পড়েনি। অনেক অণুগল্প লিখেছেন যা মনের সূক্ষ্ম অনুভূতির দ্যোতক। বয়স্ক নাগরিক অধিকার এর সঙ্গে নারী অধিকার সচেতনারও দিশারি হয়ে রইলেন এই কথাকার।
মঞ্জরী হীরামনি রায়ের নামেই মুগ্ধতার শুরু। ‘ঊষর বন্ধন’ গল্পের বিষয়ে অপর পরিসরের আভাস দিয়ে জাত চিনিয়েছেন।
হয়তো এক নতুন আরম্ভ হবে মৌপিয়া চৌধুরীর কথাবয়নে। নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন কথাসাহিত্যের। সেন ভ্রাতৃদ্বয় তৃণময় ও মেঘদূতও এলেন লিখলেন ও জয় করলেন।
‘যা কিছু গল্পের সব আমার’ এই বাক্যবন্ধ শুধু কথার কথা নয়। কথাকার হিসেবে নিজের সার্থকতার হিসেব রাখিনি কিন্তু বরাক উপত্যকার কথারচনার ইতিহাস জানতে ও জানাতে আমার ঔৎসুক্য রয়েছে নিরন্তর। নবীনদের প্রতি অবিচারের আশঙ্কা একটা থাকলই, ভৌগোলিক দূরত্বজনিত অক্ষমতার জন্য অনেকই হয়তো থেকে গেলেন অনুচ্চারিত, চেনা পৃথিবীর এক খণ্ডিত রূপরেখা হয়েই না হয় থাকুক এই অসম্পূর্ণ প্রিয় নামের পুনরুচ্চারণ।