পাতা:উনিশে মে- ভাষার সংকট - রণবীর পুরকায়স্থ (২০২১).pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরাক উপত্যকার গল্প শব্দ শিল্প আমজনতার জন্য হয়। জনসভার পাঁচালী ছাড়া সবই বুধ জনতার একান্ত ব্যাপার। তাই লেখালেখির পিছনে তাগিদ মূলত একটাই। প্রতিষ্ঠানের তাগিদ। প্রতিভার পোষক প্রতিষ্ঠান। যে-প্রতিষ্ঠান একটি পত্রিকা, ছোটো বড়ো বা মাঝারি। যে-প্রতিষ্ঠান একটি সাহিত্য মনস্ক গোষ্ঠী। যে প্রতিষ্ঠান বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের ছোটো গল্প প্রতিযোগিতাও হতে পারে। কে কখন বরাক পারে সতেরো-আঠেরোটা গল্প একসাথে দেখেছে। প্রতিষ্ঠানের টানেই তো বেরিয়ে এল। বরাক পারের কোনো গল্পকার কেন লিখছেন না। জবাব কখনই স্পর্দ্ধাভরে দিতে পারেন না কেউ। বলতে পারেন না তেমন কোনো আশ্রয় নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। বদলে শুধু অর্থহীন বিনয়ী হাসি হাসেন। প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য সফলই তো বলতে হয়। শুরু তো হলো কিছু হওয়া। যদিও তিনজন মাত্র নির্দিষ্ট হলেন পুরস্কারের জন্য। বাকি পনেরো-ষোলোও তো পুরস্কার চেয়েই গল্প পাঠিয়েছিলেন। নির্দিষ্ট মানক ছিল বলেই প্রথম তিনজন ছাড়া বাকিদেরকে পুরস্কারের বাইরে রাখতে হলো। জনাদুয়েক ছাড়া অন্যদের লেখাও যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক। প্রতিযোগিতার প্রধান দিক ছিল বরাক উপত্যকার সার্বিক প্রতিনিধিত্ব। লালা, কাটলিছড়া, হাইলাকান্দি, নিশ্চিন্তপুর, বদরপুর, করিমগঞ্জ, উদারবন্দ এবং শহর শিলচর সম্পূর্ণ উপস্থিত ছিল। লিখিত আছে, বেদ অধ্যয়নের অধিকার সবার নেই। অধ্যয়ন পূর্ব জ্ঞানার্জন সম্পূর্ণ করা ছিল বাধ্যতামূলক। সব শিল্পের বাধ্যতামূলক সুতিকাগার আছে। আমরা গজদন্ত মনুমেন্ট নিবাসী স্বয়ম্ভূ শব্দশিল্পীরা ধরে নিই তেমন কোনো ধাত্রীর কেন প্রয়োজন। স্বীকার করে নেওয়া ভালো, অঙ্গুলিমেয় উজ্জ্বলতা ছাড়া সুগঠিত বাক্য চোখে পড়ে নি। আর দায়দায়িত্ব। আছে অবশ্যই তবে সুচিন্তিত নির্দিষ্ট নয়। সে সমাজ যে পারিপার্শ্বিক গল্পকারের নয় তার জন্য কিসের দায়। প্রাচীন সামাজিক মূল্যবোধের সাথে পরিবর্তিত মূল্যবোধের ফারাক যে ব্যক্তিগত শূন্যতার সৃষ্টি করে, করতে পারে, তেমন কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই গল্পগুলিতে। কেউ কেউ যা দেখেছেন সাংবাদিকতা করেছেন। কেউ ব্যক্তিগত বর্ণহীন জীবনে রঙ ছিটিয়েছেন। বেতালভাবে কেউ গল্প বলা সিনেমার ঢঙে কথা লিখেছেন। সত্যজিৎ রায় মেট্রোপলিটন এলিট সমাজের কিছু চোরাক্ষত দেখিয়েছেন পিকু