পাতা:উনিশে মে- ভাষার সংকট - রণবীর পুরকায়স্থ (২০২১).pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উনিশে মে : ভাষার সংকট □ ১২২

 ‘——কিতা খবর? সেণ্ট্রাল রোডর দিকে গেছলায় নি?

 —অয় অয় যে অবস্তা···।

 —কেনে কিতা অইছে?

 —বেজান বম ফুটার, অস্ট্রেলিয়া জিন্দাবাদ কইয়া চিল্লার—আমার জানাশুনা এক মুসলমান পাব্লিকরে হিখানো পাইসলাম। আমারে চুপচাপ জিগায়—পাকিস্তান আরছে দেখিয়া অত ফুর্তি কেনে বা...

 আমি কইলাম ‘তুমরা ইণ্ডিয়া আরলে করনানি...' আমার কথা শেষে অওয়ার আগেউ কিগুয়ে কয় ‘আইজ বাবাই পাদুমপুদুম ছুটাইয়া ছাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার....।’

 ‘টিম অইল অস্ট্রেলিয়া, খেললে বাবাই ওলা খেল, এল্লাগিউতো আমরা বম ফুটাইরাম কিশুয়ে কিতা কইতরে...।

 ইতা কথা শুনিয়া নানি মুসলমান পাব্লিক ইণ্ড আমারে কয়

 —যাই গিয়া ভাই মানে মানে...।

 হালার হালাইন অলা কমুনেল গেলারিত বইয়াও আল্লা আকবর ডাকে ...।

 আল্লায় আইয়া পাকিস্তানরে বাচাইছিল নি?' (অসংগত

 অন্যজন শ্যামলেন্দু চক্রবর্তী। ধর্মান্ধতা নয়, তাঁর নির্বাচিত বিষয় ভাষা বৈরিতা—

 ‘অন-অসমীয়া যারা আসামে স্থায়ীভাবে বাস করছে তাদের কি আপনারা বহিরাগত মনে করেন?  নহয় তেনে কথা আমি কোয়া নাই দে। ১৯৫১ চনর পিছত অহা মানুহবোরক বহিরাগত বুলি চিহ্নিত কবির লাগে।

 কেন বলুন তো? ৫১'র পরে যারা এসেছে তারা কী দোষ করেছে?  দোষর কথা নহয়। বহিরাগতর কারণে অসমর সমস্যা বোর বহুত বাড়ি গৈছে। আমার চাকুরি পোয়াটো টান হৈ পরিছে।’ (মানুষ মানুষের জন্য)

 অন্যজন অরিজিৎ চৌধুরি। এক এক করে এতজন যীশুর গল্প শুনে ধন্দ লাগে, ব্যাপারটা কী, কেউ কি কারো কথা শুনছে না বরাকভূমিতে। ব্যর্থ পরিহাস হয়ে রয়েছে সব শুভ প্রচেষ্টা, প্রেমের কথা কেউ শুনছে না। নইলে এত মমতায় যে গল্প লেখা হয়, গল্পকারও তো সেই সমাজেরই লোক, সেই সমাজের মুখপাত্রও তো সে জন। তবে কেন মহেন্দ্রর ঘর জ্বলবে। অসমীয়া মহেন্দ্র বাঙালি ভুলুদা, বৌদির স্নেহের বাঁধনে বাঁধা পড়বে। শত্রুতাই কেন, আত্মীয়তাই কেন!

 ‘দিন পনেরো কেটে গেল ভুলুদাদের বাড়িতে। খাওয়া দাওয়া খুবই সংক্ষিপ্ত, তবু মহেন্দ্র লজ্জা বোধ করে। আর কতদিন এভাবে থাকা যায়, ভুলুদা ও বৌদির কাছে এসব কোনো ব্যাপার না, তাদের বাড়িতে প্রায়ই বাইরের লোকজন এসে থাকে। মহেন্দ্র যাবার কথা বলতেই ভুলুদা মৃদু হাসেন, যাইতায় কই। আসুয়ে নু তুমারে বিদেশির