পাতা:উনিশে মে- ভাষার সংকট - রণবীর পুরকায়স্থ (২০২১).pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

উনিশে মে : ভাষার সংকট □ ৫৫

বারবার মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় আত্মাহুতি দিতে হয়েছে শহিদের। তারও কোনো উল্লেখ নেই। ১৯৭২ এর ১৭ আগস্ট বিজন চক্রবর্তী শহিদ হন করিমগঞ্জে, ১৯৮৬র ২১ জুলাই করিমগঞ্জে আবার পুলিশের গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন দিব্যেন্দু দাস ও জগন্ময় দেব। ১৯৯৬ এ বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষার মর্যাদা আদায়ের জন্য ষোলো বছরের কিশোরী সুদেষ্ণা সিন্হা শহিদ হন পাথারকান্দিতে।

 অনিচ্ছাকৃত ভুলকে ভুল বলে মানা যায়। অবহেলার এতবড় ত্রুটিকে মানা যায় না।বরং সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় ‘একলা চলো' লড়াই এর। কারণ ইতিহাসের কাছে বাংলা মূল ভাষাভুবনের বিন্দুমাত্র দায় নেই উত্তর-পূর্বের বাংলা ভাষাভাষীজনের প্রতি।প্রাসঙ্গিকভাবেই তাই ভাষাতাত্ত্বিক তপোধীর ভট্টাচার্যর উচ্চারণকে মান্য বলে এগিয়ে যেতে হবে। ‘বহির্জগতের নিষ্ঠুর নির্লিপ্তি সত্ত্বেও আমরা উত্তর-পূর্বের ব্রাত্য বাঙালিরা বাঁচি, বাঁচব আমাদের নিজস্ব আলোয়, প্রত্যয়ে, উত্তাপে।’

 উনিশে মে র একাদশ শহিদ:

 ১। কমলা ভট্টাচার্য।

 ২। শচীন্দ্র পাল।

 ৩। চণ্ডীচরণ সূত্রধর।

 ৪। সুনীল সরকার।

 ৫। সুকোমল পুরকায়স্থ।

 ৬। কানাইলাল নিয়োগী।

 ৭। সত্যেন্দ্র দেব।

 ৮। বীরেন্দ্র সূত্রধর।

 ৯। তরণী দেবনাথ।

 ১০। কুমুদ দাস।

 ১১। হীতেশ বিশ্বাস।

 ১৭ আগস্ট ১৯৭২র শহিদ

 বিজন চক্রবর্তী ২১ জুলাই ১৯৮৬র শহিদ

 ১। দিব্যেন্দু দাস।

 ২। জগন্ময় দেব।

 ১৯৯৬ এ বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষার মর্যাদা রক্ষায় পাথারকান্দিতে শহিদ হন এক কিশোরী সুদেষ্ণা সিন্‌হা।

উনিশে মে ২০১৪