পাতা:উনিশে মে- ভাষার সংকট - রণবীর পুরকায়স্থ (২০২১).pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উনিশে মে : ভাষার সংকট □ ৭০

চিহ্নিত করেছে। এর জন্য দায়ি কে, এত সহজ নয় চিহ্নিতকরণ, বাঙালিও তো হতে পারে বাঙালির শত্রু, দেশভাগের সময় রবীন্দ্রনাথ নেতাজি বিবেকানন্দ সুস্থ নজরুল না থাকলে কী হবে, তৎকালীন বিখ্যাত বাঙালিরা তো ছিলেন, পৌঁছতে পারতেন অহিংসাপুরুষের কাছে, তিনিও তো বলেছিলেন দেশভাগ যেন তাঁর বুকের উপর দিয়ে হয়। তাই প্রথম প্রধানমন্ত্রী তো নিমিত্তমাত্র, ভারতীয় হেতুবাদ তো তাই বলে। কিংবা নয় তার কন্যা প্রপৌত্র প্রপৌত্রবধূ। চিহ্নিত করে কোনো সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে না, বাঙালিকে সর্বাবস্থায় বলিপ্রদত্ত হতেই হবে, সে জোড়া বলদই হোক গাইবাছুর হোক হাতই হোক কিংবা জলজ পুষ্পের ঘায়েই হোক, মরতে তোমাকে হবেই। পদ্মকালেই দেখা গেছে প্রকোপ বেড়েছে, বলছে ভয় নেই, বাঙালি হিন্দুর রক্ষাকবচ থাকছে। কিসের রক্ষাকবচ বলা যাবে না দেশপ্রেমী হলে। মুসলমানকে দোষী সাব্যস্ত করে বের করে দিলে তো ভালোই, সে একটা দেশ পাবে যদি পায়। আর তা তা থৈ নৃত্যরত হিন্দু বাঙালির অবস্থা তো আরও করুন, ভয়াবহ। সে তো কিছুই পাবে না, দেশ না নাগরিকত্ব না, কোনো পরিষেবা পাওয়ার যোগ্য থাকবে না, নাগরিকত্বহীন ভাড়াটে হয়ে থাকতে হবে স্বদেশে, আসামের বাঙালি এখন আরও ভালো দিনের ভরসায় তাকিয়ে আছে পনেরতম প্রধানমন্ত্রীর মুখ চেয়ে। আশায় আশায়। এছাড়াও আছে বাঙালির আর এক আপনজন, এক তৃণপুষ্প, নয় কোটি বাঙালির নেতৃত্ব দিচ্ছেন যে মমতাময়ী, তিনিও তো বলছেন, চলে এসো, বাজার গরম করে রেখেছি। কোথায় থাকতে দেবেন বঙ্গমাতা, আবার মরিচঝাঁপি খুলবেন?