পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ミ উপদেশ । । রসন ! হরিনাম বল, এইরূপে রসনার উপর সম্বোধন সতত শুনি। কেননা এই যে রসনা, ইহা রসকে আস্বাদন করে। ইহা হইতে যখন পুণ্যরস উদ্ভূত হয়, তখনই ইহা রসপ্রস্থ রসনা। সকল রসের মূল কোথায় ? মিষ্ট্র রস বল, সাহিত্যরস বল, নীতিরস বল, ধৰ্ম্মরস বল, সমুদয় রসের মূল কোথায় ? শাস্ত্রে বলে, “রসো বৈ সঃ”—ঈশ্বর যিনি, তিনি রসস্বরূপ, তৃপ্তি-স্বরূপ। যেমন তিনি সত্য-স্বরূপ, তেমনই তিনি রসস্বরূপ । হাস্যরস, কবিত্ব-রস, বিজ্ঞান-রস, ধৰ্ম্ম-রস, সমুদয় রসের আস্বাদন মিলিত হইয়া তাহার নামকে সুমিষ্ট করে। দয়াল নাম মধুর নাম। মধু হইল কোথা হইতে ? গোলাপ-রস, পদ্ম-রস প্রভৃতি সমুদয় রস মধুকে রচনা করে। আমরা যদি পাঁচ সহস্র বৎসর গোলাপ চৰ্ব্বণ করি, মধুবর্ষণ হয় না, কিন্তু মক্ষিকা দশটা ফুল হইতে কত মধু সঞ্চয় করে। নানা প্রকার ফুলের কথা আজ শুনিয়াছি। শান্তি-চম্পক, ভক্তি-পদ্ম আছে, নানা প্রকার ভাবের দ্বারা উপাসকের হৃদয় পূর্ণ হয়। সমুদয় ভাব ঈশ্বর হইতে একত্রিত হইয়া সাধু হৃদয়ে চিত্রিত হয়। শাস্তিপীযুষ, কবিত্বের মধু, ভক্তের গভীর সুখ সমুদয় একত্রিত হইয়া রস-স্বরূপ ঈশ্বরে সঞ্চিত আছে। রস আস্বাদিত হয় কিরূপে ? বলিয়াছি, রসন দ্বারা। তবে রসনা কি হইল ? হইল যন্ত্র । পুণ্যের বাজনা তাহাতে বাজে, পুণ্যের লহরী তাহ হইতে উচ্চারিত হয়। যে ব্যক্তি রসনাকে সংযত করিতে পারিয়াছেন, সময়ে চাবি দিয়া খুলিতে ও সময়ে বন্ধ করিতে পারেন, ময়ূরের ন্যায় নৃত্য করাইতে পারেন ও বাশীর ন্যায় বিবিধ ভাবের স্বর বাহির করিতে পারেন, তাহাকেই বলি, ঈশ্বরের প্রিয় পুত্র। যে শব্দ বিনা শাস্ত্র নাই, ধৰ্ম্ম নাই, সত্য নাই, সেই শব্দ বিনির্গত হয় কোথা হইতে ? যিনি ভক্ত, ঈশ্বরের ভূত্য, রসনা সাধনে সিদ্ধ, তাহারই মুখ