পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানবজীবনের মূল কোথায় ? >午 তাহা খুজিয়া পাওয়া অসাধ্য। একটা আম্রবৃক্ষের শিকড় কোথায় চলিয়া গিয়াছে খুজিয়া পাইবে না। মানুষও যে ক্ষুদ্র বীজ হইতে উৎপন্ন, সেই ক্ষুদ্র বীজ কোথায় গেল কিছুই জানিতে পার না। মানুষ যে মূলের উপর নির্ভর করিয়া এই ইহ পরকালে স্থিতি করিতেছে, দণ্ডায়মান রহিয়াছে, সেই মূলের অনুসন্ধান করিয়াও তুমি বাহির করিতে পার না। বৃক্ষ আপনার মূল মাটীতে লুকাইয়া রাখে। মানুষের মূল কোথায় ? যে মূল হইতে মানুষের প্রাণ, জ্ঞান, ধন মান এবং অনন্তকাল স্থিতি, সেই মূল কোথায়, কোম্ আধারে লুক্কায়িত ? যে মূল হইতে মানুষ রসগ্রহণ করিয়া এত বড় হয়, এত কীৰ্ত্তিমান হয়, সেই মূলাধার কোন অজানিত, অগম্য দেশে আপন স্বভাবে আপনি আবৃত হইয়া বসিয়া রহিয়াছেন? ক্ষুদ্র মূলের উপর স্থিতি করিয়া বৃক্ষ প্রকাণ্ড আকার ধারণ করে, আকাশ ভেদ করিয়া মস্তক উন্নত করে দেখিতে পাও । কিন্তু বল মহাজনের মস্তকের ন্যায় কোন বৃক্ষের মস্তক উন্নত হইয়াছে ? যে মূলের শক্তিতে মানুষ এত উন্নত ও চির উন্নতিশীল, সেই মূল, সেই মূলাধার যিনি তাহাকে অন্বেষণ কর। র্যাহা হইতে গুণ জ্ঞান পাইয়া এত আস্ফালন করিলাম, সেই গুণসাগর, রত্নসাগর যিনি, তিনিত দেখা দিলেন না । যতক্ষণ র্তাহাকে দেখিতে না পাও, ততক্ষণ তুমি আপনার মর্য্যাদা কি বুঝিবে ? অতএব হে যুবক, আর আপন বলের গৌরব করিও না। হে ধাৰ্ম্মিক, আর আপন ধৰ্ম্মের এত গৌরব করিও না । গাছ যেমন মাট হইতে রস পাইয়। জীবিত থাকে, তোমাদেরও সমস্ত শক্তি, বল, স্ফূৰ্ত্তি ও কীৰ্ত্তি, জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম ঈশ্বর হইতে প্রাপ্ত হইতেছ। যাহা হউক, এই কথা বলা আমার উদ্যে ছিল না। আরও কথা আছে। তাহা এই, ক্ষুদ্র একটা বীজ