পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানবজীবনের মূল কোথায় ? : >> একটা গোলাপ ফোটে, তাহার গন্ধে শত শত মৌমাছি আকৃষ্ট হইবে, এবং সেই গোলাপের মধু আহরণ করিয়া মধুচক্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিবে । তেমনি বিশ্বাসী যেখানেই থাকুন না কেন, তাহার আকর্ষণে অনেকে আকৃষ্ট হইবে এবং সেই সকল বিশ্বাসীর সম্মিলিত আত্মার প্রভাবে প্রকাণ্ড মণ্ডলী গঠিত হইবে। বিশ্বাসীর মণ্ডলী সঙ্কীর্ণ নহে। এই মণ্ডলীর শক্তি সামান্ত নহে। বিশ্বাসের শক্তিতে গৌরাঙ্গের পার্শ্বে অদ্বৈত, বিশ্বাসের প্রভাবে শাক্যের পশ্চাতে মহেন্দ্র, বিশ্বাসের অসীম শক্তিতে ঈশার পাশ্বে জন, এবং আরও কত বিশ্বাসে অগ্নিসম তেজোময় শিষ্য । কেবল ইহাতেই পৰ্য্যাপ্ত নহে। ইহার পশ্চাতে কত প্রকাগু প্রকাও মণ্ডলীর অবয়ব দর্শন কর। বিশ্বাসের আকর্ষণেই মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের পাশ্বে ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র উপবেশন করিলেন, র্তাহারই পশ্চাতে দণ্ডায়মান এই নববিধানের মণ্ডলী। অতএব যদি যথার্থ বিশ্বাসের প্রদীপ জলে, তবে তৎসঙ্গে সঙ্গে শত শত প্রদীপ জ্বলিয়া উঠিবে এবং সমস্ত অবিশ্বাসের অন্ধকার বিনাশ করিবে । একটী ফুলে শত শত মাছি আসিয়া মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়, একটা বৃক্ষ হইতে শত শত বৃক্ষ উৎপন্ন হইয়া হিমালয়ের বনভূমি ছাইয়া ফেলে। হিমালয়ের বন প্রদেশ আমি দেখিয়াছি। ইচ্ছা করি তোমরাও তাহ দেখিয়া এস। এমন ছোট বড় নানা বৃক্ষ বন আচ্ছাদন করিয়াছে যে, দেখিলে বৃক্ষবংশের বিস্তুরে অন্ত করা যায় না। ইহাতে কত ফুল, কত ফল, কত শোভা । ঈশ্বর স্বয়ং আমাদের মণ্ডলীর মূলাধার। তিনি আমাদের রস, জল, ভক্তি, প্রেম ; তোমরা সকলে আবার সেই পরব্রহ্মের ক্ষেত্রে রোপিত হও । গত বুধবার তোমাদিগকে বলিয়াছি, সকলে আপনাপন শিকড় এই পৃথিবীর মাট হইতে উৎপাটন করিয়া বৈকুণ্ঠের প্রান্তরে, ঈশ্বরের ہمہم ہے