পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা । এইজন্যই মায়াবাদের মূল নির্ণয় করা নিতান্ত আবশ্যক হইয়া উঠিয়াছে । আর একটা গুরুতর কারণে এই মূল নিৰ্ণয় করা আবশ্যক বলিয়া বিবেচিত হইতেছে । অনেক সুপণ্ডিত ব্যক্তিরও এইরূপ একটা ধারণা জন্মিয়াছে যে, ঋগ্বেদে যে “দেব-তত্ত্ব” উপদিষ্ট আছে,-অগ্নি, সোম, ইন্দ্ৰ প্ৰভৃতি দেবতার উদ্দেশ্যে যে সকল সূক্ত আছে-সেগুলি জড়-পদার্থের প্রতি বিস্ময়প্ৰকাশক মাত্র !! প্রকৃতির বিস্ময়কর কার্য্য ও দৃশ্য-দর্শনে বিমুগ্ধ হইয়! আদিম মানুষের মনে যে ভাব উদিত হয়, সেই ভাব-তাড়িত হইয়া, বৈদিক ঋষির মুখে যে সকল ভীতি-বিহবল ও বিস্ময়-প্ৰকাশক স্মৃতি-গাথা উচ্চারিত হইয়াছিল, ঋগ্বেদ তাহারই দ্বারা পরিপূর্ণ ! কাৰ্য্য-কারণের সম্বন্ধ-নির্ণয়, শক্তির মৌলিক একত্ব, ব্ৰহ্ম-চৈতন্যের একত্বের পরিস্ফট ধারণাএই সকল সমুন্নত তত্ত্ব নাকি বৈদিক যুগে আদৌ আবিষ্কৃত হয় নাই ! তাঁহারা বলেন যে, জড়-প্রকৃতির জর্ডীয়-দৃশ্যাবলীকেই স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র “দেবতা” মনে করিয়া বৈদিক ঋষিগণ স্তুতি উচ্চারণা করিতেন । বহু বৎসর এইরূপে দেবোপাসনা করিতে করিতে,-অনেক দিন অতিবাহিত হইয়া যাইবার পর, অরণ্যচারী কতিপয় মাত্ৰ ঋষির চিত্তে ব্ৰহ্ম-বিদ্যার তত্ত্ব সমুদিত হইতে আরম্ভ করিয়াছিল। উপনিষদ গ্রন্থগুলি সেই ব্ৰহ্মবিদ্যার গ্রন্থ । আরো পরে, বেদান্ত-দর্শনে এই ব্ৰহ্ম-তত্ত্বই नमigल5िड श्देशाgछ !