পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপনিষদের উপদেশ । وV যাহাদের চিত্তে ব্ৰহ্ম-জ্ঞানের কোন আলোক প্ৰবেশ করিতে পারে না ; তাহদের পক্ষে ঈদৃশ যজ্ঞানুষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোন K DDDSS S S S S DBDBBDBD BBBDS uDuSDD OD DBBSDBBDJYY উপযোগী হইবে । হায় ! যাহারা ব্ৰহ্ম-জ্ঞানের কোন সংবাদই রাখে না, রাখিতে চায় না, তাহারা মৃত্যুর পরে অজ্ঞানান্ধ জীবগৃহেই জন্মগ্রহণ করে । ইহারা আত্ম-ঘাতা । সর্ববত্র অবস্থিত ব্ৰহ্মসত্তাকে ইহারা বুঝিতে পারে না । ইহাদের চিত্তের মলিনতা এত প্ৰবল যে, উজ্জ্বল ব্ৰহ্ম-সত্তাও, এই মলিনতা দ্বারা ইহাদের নিকটে আবৃত হইয়া পড়েন। হায় । ইহারা অজার, অমর, অভয়, অমৃত আত্ম-তত্ত্ব বুঝিতে পারে না ! ইহারা অজ্ঞ ! ইহারা আপন ইন্দ্ৰিয়ের তৃপ্তিমাত্ৰ কামনা করিয়া থাকে ! ইহারা নিয়ত পুত্ৰ-বিত্ত, ধন-জনাদি পরিবৃত হইয়া, আত্ম-দন্তে গগন কম্পিত করে !! হায় ! ইহারা জানে না যে, কেবলমাত্ৰ এইভাবে জীবন যাপন করা মনুষ্যের লক্ষ্য নহে। এ প্রকার অজ্ঞানাচ্ছন্ন হইয়া জীবন-যাপন করিলে, ইহজীবনেও তৃপ্তিলাভ করা যায় না । কেন না, ইন্দ্ৰিয়-সুখ চঞ্চল ; ইন্দ্ৰিয়ের শক্তিও অচির-স্থায়ী ; মনের আশারও তৃপ্তি নাই ; এক বাসনার পূরণ কর, অপর বাসনার উদয় হইবে। দেহান্তেও, ইহাদের অজ্ঞানাচ্ছিন্ন লোকে জন্ম পরিগ্ৰহ করিতে হয় । সে লোকগুলিতে জ্ঞানালোকের সঞ্চার মােটেই নাই।