পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ठादि छ]] ७ दिछ । କ মানুষের চিত্তে ব্ৰহ্ম-সত্তার বোধ প্রস্ফুটিত করিবার উদ্দেশ্যেই ত দেবোপাসনা বিহিত হইয়াছে। চিত্তে কেবল জড়ীয়-ভাবনার পরিবৰ্ত্তে, তৎস্থলে চৈতন্যের আলোক সঞ্চারিত করিবার জন্যই যজ্ঞ-পদ্ধতি উপদিষ্ট । এই যজ্ঞানুষ্ঠানে ও দেবোপাসনার ফলে, স্বাভাবিক অন্ধ প্রবৃত্তির বশীভুত হইয়া অজ্ঞলোক যে সাংসারিক কৰ্ম্ম করিয়া থাকে, তাহা যে নিম্ফল, ক্ৰমে চিত্তে এই ধারণা আসিতে থাকে । ক্ৰমে দেবতাদিগের সত্তা ও আপনার সত্তা, এক ও অভিন্ন বলিয়া মনে হইতে আরম্ভ করে। এই প্রকারে সংসার-নিমগ্নত কাটিয়া যায় । এইরূপে ক্ৰমে দেবতাবেগের সাতন্ত্র্য-বোধও তিরোহিত হইতে থাকে। অগ্ন্যাদি দেবতাবগ-কাৰ্য্যমাত্র । কাৰ্য্যমাত্রই কারণ-সত্তার অভিব্যক্তি । সুতরাং দেবতাবগও কারণ-সত্তারই অভিব্যক্তি । এ জগতের কারণ কে ? দেবতাবৰ্গকে আপন ‘অপেক্ষা সমধিক জ্ঞান ও শক্তিশালী বলিয়াই তা এতদিন উপাসনা করা হইয়াছে ১৮ । সুতরাং, এই জ্ঞান ও শক্তিশালী

  • পক্ষ্মেদের বহুসুক্তে, অগ্নি সোমাদি দেবতাতে,-“চিকিত্বান", “বিচিকিতে মনীষা”, “জাতবেদ”প্ৰভৃতি বিশেষণ দ্বারা জ্ঞানের আরোপ করিয়া লওয়া হইয়াছে দেখা যায়। দেবতাবৰ্গকে জ্ঞানবিশিষ্ট বলিয়া প্রথম হইতেই অনুভব করিতে করিতে যখন উহাদের মূল সত্তার বোধ জন্মিবে, তখন সে সত্তাও যে জ্ঞানস্বরূপ তাহ অনায়াসে উপলব্ধি হইতে পরিবে। ইহা এক উদ্দেশ্য। অপর উদ্দেশ্য এই যে জগতের সকল