পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 উপনিষদের উপদেশ । ধৰ্ম্ম হইতে পারে না । এগুলি জড়ীয় ক্রিয়ামাত্র । এগুলি আসিতেছে, যাইতেছে ; ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান্তর ধারণ করিতেছে। এই গুলিই যদি আত্মার স্বরূপ হয়, তবে আত্মাও উৎপত্তিবিনাশশীল, বিকারী হইয়া পড়েন। আত্মচৈতন্য, এগুলি হইতে স্বতন্ত্র, নিত্য, নির্বিকার, সাক্ষী। তিনি অলুপ্ত জ্ঞানজ্যোতিঃস্বরূপ । এই প্রকারে প্রত্যেক খণ্ড খণ্ড বোধের সাক্ষীরূপে তাহাকে জানিতে পারা যায়। এইরূপে, বিষয়-বোধের সঙ্গে সঙ্গে তাহার অখণ্ড স্বরূপের সম্যক আভাস পাওয়া যায়। ঋ । raisirsprang as FFFF iars - as air i

  • এস্থলে ভাষ্যকার আর যে সকল কথা বলিয়াছেন, তাহা এই টীকায় প্রদত্ত হইতেছে। তিনি বলিয়াছেন, আত্মা—বৈষয়িক বোধগুলির সাক্ষী | আত্মাকে বোধগুলির ‘কৰ্ত্তা’ বলা যাইতে পারে না। কৰ্ত্তা বলিলে, “তঁহাকে বোধ-ক্রিয়া-বিশিষ্ট বলিয়া মীমাংসা করা অনিবাৰ্য্য হইয়া উঠে। কিন্তু তাহা হইলে বোধ-ক্রিয়াগুলি আত্মার ‘ধৰ্ম্ম’ হইয়া উঠে। বোধগুলি উৎপত্তি-বিনাশশীল। যখন বোধগুলি উৎপন্ন হয়, তখন তাহাকে সেই বোধ-বিশিষ্ট বলিতে হয়। এইরূপে তঁহাকে বিকারী, সাবয়ব, অনিত্য বলিতে হয়। এই সকল দোষ হয় বলিয়া তাহাকে বোধের কর্তা বলা যায় না । তিনি অখণ্ড নিত্য বোধ-স্বরূপ । আবার ন্যায়মতে, আত্মা অচেতন দ্রব্যমাত্র ; এই আত্মায় মনের সংযোগ হইলে জ্ঞানের উৎপত্তি হইয়া থাকে। কিন্তু ইহাও যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নহে । কেননা, আত্মাকে অচেতন বলিলে শ্রুতির সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিরোধ উপস্থিত হয়। শ্রুতি আত্মাকে “প্রজ্ঞান’-স্বরূপ বলিয়াই সিদ্ধান্ত করিয়াছেন।