পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । ( দেবতা-বর্গের মূল-প্রেরক কে ? ) আর একদিন আচাৰ্য্য শিষ্যকে পুনরায় সস্নেহে নিকটে ডাকিয়া আনিয়া বলিতে লাগিলেন “হে সৌম্য ! আমি সেদিন তোমার নিকটে ব্রহ্মের স্বরূপ কীৰ্ত্তন করিতে গিয়া বুঝাইয়া দিয়াছি যে, আত্ম-সত্তাই সমুদয় ইন্দ্ৰিয়ের মূল-প্রেরক । কি আধাত্মিক, কি আধিদৈবিক, সকল বস্তুর মধ্যেই ব্ৰহ্ম-সত্তা অনুপ্রবিষ্ট রহিয়াছেন এবং তিনি উহাদিগকে স্ব স্ব কাৰ্য্যে প্রেরণ করিতেছেন * । ব্ৰহ্ম-সত্ত যে আধ্যাত্মিক ইন্দ্ৰিয়বর্গের মূল-প্রেরক তদ্বিষয়ে সে দিন উপদেশ দিয়াছি, আজ একটা প্ৰাচীন আখ্যায়িকা তোমাকে শুনাইব। এই আখ্যায়িকাটী শুনিলে, তুমি বুঝিতে পরিবে যে, ব্ৰহ্ম-সত্তা আধিদৈবিক সূৰ্য্য, চন্দ্ৰাদি বস্তুরও মূল-প্রেরক। একদা ঐশ নিয়মের ব্যাঘাতকারী অসুর-বগকে পরাজিত করিয়া, সূৰ্য্য, অগ্নি, চন্দ্ৰ, বায়ু প্রভৃতি দেবতা-বৰ্গ + অতীব

  • গৌড়পাদভায্যে এবং গিরির টীকায় ইহাকেই “সম্যক-দৰ্শন” বলা হইয়াছে। “আধ্যাত্মিকং শরীরাদি অধিষ্ঠানমাত্ৰং দৃষ্ট, বাহতে -পৃথিব্যাদিচ • অধিষ্ঠানমেবেত্যনুভূয়...তাদর্শননিষ্ঠঃ স্তাৎ,” ২॥৩৮
  • একই মহাশক্তি আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক পদার্থের আকারে