পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ty উপনিষদের উপদেশ । গৰ্বিবত হইয়া উঠিয়াছিল । তাহারা প্ৰত্যেকে প্ৰত্যেক হইতে সমধিক প্ৰতাপশালী বলিয়া, দৰ্প করিয়া বেড়াইতে লাগিল। তাহারা মনে করিল, তাহাদের ন্যায় ক্ষমতা-বিশিষ্ট কেহই আর জগতে নাই । তাহদের শক্তিতেই এই জগৎ চলিতেছে । তাহারা ছাড়িয়া গেলে, এ জগৎ এক মুহুর্তে নিশ্চেষ্ট হইয়া পড়িবে। তাহারা যদি প্ৰাণীবাগের ইন্দ্ৰিয়ের সহায়তা না করে -ইন্দ্ৰিয়ের উপরে ক্রিয়া না করে-তবে কোন ইন্দ্ৰিয়ই BDDBDT DB DDBLYSS BD DBBDDBDB DD BODLBBDBD S D প্ৰাণশক্তিই জগতের উপাদান। এই উপাদানই “করুণরূপে’ ও ‘কাৰ্য্যরূপে’ অভিব্যক্তি হইয়া এই জগৎ গড়াইয়াছে। “করুণাংশই’-তেজ, আলোক, বায়ুর আকারে বাহিরে ক্রিয়া করিয়া থাকে এবং ইহাই প্ৰাণীর দেহে চক্ষুঃ কৰ্ণ মন প্ৰভৃতি ইন্দ্ৰিয়ের আকারে ক্রিয়া করিতেছে। সঙ্গে সঙ্গে ‘কাৰ্য্যাংশ’ ঘনীভূত হইয়া জলীয় আকারে ও পৃথিবীর আকারে দেখা দিয়াছে এবং উহাই প্ৰাণীর স্থূলদেহ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছে। জগতের উপাদান এই প্ৰাণশক্তি, নিৰ্ব্বিশেষ ব্ৰহ্ম সত্তারই অবস্থান্তর বা আকার-বিশেষ। কেন না, নির্বিশেষ ব্ৰহ্ম-সত্তা সৃষ্টির প্রাক্কালে জগৎব্রুপে অভিব্যক্ত হইবার যে উন্মুখ হইয়াছিলেন,-সেই উন্মুখাবস্থার নামই প্ৰাণ-শক্তি। সুতরাং তত্ত্বদর্শীর চক্ষে উহা ব্ৰহ্ম-সত্তা ব্যতীত অন্য কোন “স্বতন্ত্র’ বস্তু নহে। তেজ, আলোকাদির সমষ্টিস্বরূপ সুৰ্য্য, চন্দ্ৰ প্ৰভৃতি সৌরজগতের পদার্থগুলিকে ‘’অধিদৈবিক’ পদার্থ এবং দেহমধ্যস্থ ইন্দ্ৰিয়, মন প্ৰভৃতিকে “আধ্যাত্মিক’ পদাৰ্থ বলে। দ্বিতীয় খণ্ডের অবতরণিকায় ইহার বিস্তৃত বিবরণ প্রদত্ত হইয়াছে। kኻኳmሠ