পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o উপনিষদের উপদেশ । শক্তিমাত্র এবং শক্তির বিকাশ হইতেই উহাদের উৎপত্তি । , সূক্ষম স্পন্দনশক্তি বিকাশিত হইতে আরম্ভ করিলেই, উহার একাংশ প্রাণরূপে এবং অপরাংশ রয়িারূপে ক্ৰিয়া করিতে থাকে *।। জগতে যত কিছু পদাৰ্থ আছে—তাবৎ পদার্থই এই প্রাণ ও রয়ি হইতে জাত ; সমস্তই এই অগ্নি-সোম হইতে উৎপন্ন । - }; അ ঋগ্নেদে অনেক সুক্তে অগ্নি ও সোম ( কোন কোন স্থলে ইন্দ্ৰও সোম, এবং পুষা ও সোম বলিয়াই নির্দিষ্ট আছে) নামক দেবতার একত্র স্তুতি করা হইয়াছে। এই অগ্নি-সোম, “উপনিষদের প্রাণ ও রয়ি মাত্ৰ । কতকগুলি সুক্তে যেমন অগ্নি বা আদিত্যকে এবং অন্ন বা সোমকে পৃথক পৃথক স্তুতি করা হইয়াছে ; তদ্রুপ অনেক গুলি স্তক্তে অগ্নি-সোমকে একত্ৰ করিয়াও স্থতি করা হইয়াছে 1 । এই অগ্নিসোম all the others are absent is resistance to our efforts." *穿一 রও বৃহদারণ্যকে ‘মৈত্ৰেয়ীর উপাখ্যানে ? বলিয়াছেন যে,-“বিষয় ও ইন্দ্ৰিয়-তুল্যজাতীয় পদাৰ্থ”।

  • “অন্নময়স্তাভ্যন্তর আত্মা, সাধারণঃ অত্তা, উকথং, ব্ৰহ্মা, ইন্দ্ৰঃ, ইত্যেবং শব্দবাচ্যঃ”-ঐতরেয়ারণ্যক-ভাষ্য, শঙ্কর ।

+ ঋগেদে সোমের উৎপত্তি সম্বন্ধে একটা গল্প আছে। শ্যেনপক্ষী স্বৰ্গ হইতে সোমকে পৃথিবীতে আনিতেছিল, পথে গন্ধৰ্ব্ব তাহা চুরি করিয়া লয় ; পরে বাগেদবী যাইয়া সোমকে লইয়া আসিয়াছিলেন ( ১৮০২ ; ৩,৪৩৭ ; ৪২৬৷৷ ৪-৬ ) । শতপথ এবং সায়ন উভয়ই এই শ্যেন পক্ষীকে-গায়িত্রীরূপী ও ছন্দোরূপী বলিয়া অর্থ করিয়াছেন।