পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RV) » উপনিষদের উপদেশ । পুত্র বিত্ত-মান-যশোর লাভাশায় বা পরলোকে সুখ প্ৰাপ্তির আশায়, যাগষজ্ঞাদি কৰ্ম্মে প্ৰবৃত্ত হয় এবং দেবতাদিগের স্বতন্ত্র অস্তিত্বে ও ফলদাতৃত্বে বিশ্বাস করে! এই শ্রেণীর লোককে ‘কেবল-কৰ্ম্মী” বলা যায় । (৩) ইহাদের অপেক্ষাও যাহারা উন্নততর-চিত্ত, তাহারা “কন্মের সঙ্গে জ্ঞানের সমুচ্চয়” করিয়া লন । ইঙ্গারা দেব তাবৰ্গকে স্বতন্ত্র বস্তু বোধ না করিয়া, দেবতা বৰ্গ যে কারণ-সত্তারই বিকাশ, ইহাই অনুভব করিতে থাকেন। ইঙ্গারা দুই শ্রেণীতে বিভক্ত:-(ক) দ্রব্যাত্মিক-বিজ্ঞের আচরণকালে, DLSYY ESED EBBD g BSY BYK Bmm SLDBG BDJSi DDD স্থাত ব্ৰহ্ম-সত্তার অনুভব করিতে আভাস করেন । (খ) কেহ কেহ বা দ্রব্যাত্মিক যজ্ঞানুষ্ঠান বর্জন করতঃ, অন্তরে ও বাহিরে কেবল ভাবনাত্মক-যজ্ঞে নিরত থাকেন । সৰ্ব্বত্র ব্ৰহ্ম-সত্তার অনুভবই ইহাদের একমাত্ৰ লক্ষ্য হইয়া উঠে । (৪) এইরূপে সৰ্ব্বত্ৰ ব্ৰহ্মসত্তার ধারণা পরিপাক হইয়া উঠিলে, কেবল এক অদ্বৈত-তত্ত্বই সৰ্ব্বদা জাগরূক হইতে থাকে। ভেদবুদ্ধি একেবারে তিরোহিত হয়। ইহাদিগকে “কেবল-জ্ঞানী” বলা যায়। শঙ্কর এইরূপে সাধনের শ্রেণীবিভাগ করিয়া, সাধনের ফলেরও নির্দেশ করিয়াছেন । কেনোপনিষদের অবতরণিকায় আমরা সাধনের শ্রেণীভেদ এবং সাধনের ফল-সম্বন্ধে উল্লেখ দেখিতে পাই । তথায় ভাষ্যকার বলিয়াছেন যে,--যাহারা কেবল মাত্ৰ স্বাভাবিক প্ৰবৃত্তিবশে চালিত হইয়া, কেবল সাংসারিক কৰ্ম্মে নিমজ্জিত হইয়া, পাপাচরণে জীবন ক্ষয় করে, তাহারা মুতু্যুর পরে অন্ধতমসাবৃত স্থাবর বা নিকৃষ্ট পশু-পক্ষ্যাদি-লোকে অধঃপতিত হয়। কিন্তু র্যাহারা “কেবল কৰ্ম্মী”,-যাহারা এখনও দেবতার প্রকৃত দেবযান ও পিতৃব্যানমাৰ্গ । ,