পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 উপনিষদের উপদেশ । كې هم کم احمه ٣٦٩ ٦٠ می- * *هم ح منبع দ্বারা উচ্চারিত হয়, তাহারও মূল প্ৰাণশক্তি। সুতরাং প্ৰাণইगडौश भलन डीना (नदडा । डेश वाला শক্তির বিকাশের একত্ব-বোধই উপদিষ্ট হইয়াছে। যে প্ৰাণশক্তি হইতে সূৰ্য্য, বায়ু, অগ্নি প্ৰভৃতি অভিব্যক্তি হইয়াছে, সেই প্ৰাণশক্তির ক্ৰিয়াই যজ্ঞে উচ্চারিত সাম-গানাত্মক স্তোত্রে ব্যক্তি হইয়া থাকে। ‘সংবর্গ-বিদ্যায়” প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে যে, জৈব প্রাণশক্তি হইতেই— চক্ষু, শ্রোত্ৰ, বাক, মন প্ৰভৃতি ইন্দ্ৰিয় ব্যক্তি হয়; আবার উহাতেই লীন হইয়া যায়। বাহিরেও চন্দ্ৰ-সূৰ্য্য-অগ্নি-জলদি বস্তু প্ৰাণশক্তি হইতেই ব্যক্ত হয়, আবার উহাতেই বিলীন হইয়া যুায়। বাহিরে ও ভিতরে একই প্ৰাণ-স্পন্দন। --নানা আকারে ক্রিয়া করে । এইরূপে, আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক পদার্থ সকলের মৌলিক একত্ব-বোধ উপদিষ্ট হইয়াছে । বৃহদারণ্যকের ‘মধু-বিদ্যাতে’ এবং অন্তর্যামি-ব্ৰাহ্মণে আমরা, এই এক ত্বষ্ট উদঘাষিত দেখিতে পাই । সূৰ্য্য, চন্দ্ৰ, বায়ু, অগ্ন্যাদিতে অনুপ্রবিষ্ট সন্তা এবং চক্ষু, প্ৰাণ, শ্রোত্ৰ, মন প্রভৃতির মধ্যগত সত্তা--- উভয়ই এক, অভিন্ন । ‘ইন্দ্ৰিয় বর্গের কলহে।’ এবং ‘দেবতাবর্গের কলহেও” প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে যে, প্ৰাণশক্তিই সকল ইন্দ্ৰিয়ের মূলে অবস্থিত এবং প্ৰাণশক্তিই সকল দেবতার মূলে অবস্থিত। “বৈশ্বানর-বিদ্যায়” অন্যভাবে এই মহাতত্ত্বই প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে। সূৰ্য্য, চন্দ্র, আকাশাদি আধিদৈবিক পদার্থগুলিকে বিরাট পুরুষ-চৈতন্যের অবয়ব বা অঙ্গরূপে কল্পনা করিয়া ভাবনা করিবার উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছে । এই কল্পনার ফলে সূৰ্য্যাদি পদার্থকে আর স্বতন্ত্র পদাৰ্থ বলিয়া