পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ァや উপনিষদের উপদেশ । pushMauer পতির অঙ্গরূপে কল্পনা করা যাইতে পারে। কেন না, অঙ্গীর সত্তাতেই যেমন অঙ্গসকলের সন্তা ; তদ্রুপ প্ৰাণস্পন্দন ব্যতীত, সূৰ্য্যচন্দ্রাদিপদার্থের স্বতন্ত্র সত্তা থাকিতে পারে না " । এই জন্যই ইহাদিগকে বিরাট-পুরুষের অঙ্গরূপে বর্ণনা করাই সঙ্গত। অগ্নি, সেই প্ৰজাপতি বা বিরাটুপুরুষের বাক্যস্বরূপ। বায়ুতাহার নিঃশ্বাস-প্ৰশ্বাস ( নাসিকা )। সূর্যা- তাহার চক্ষুস্বরূপ। দিক ( আকাশ ) তাহার শ্ৰবনেন্দ্ৰিয়-স্বরূপ । ওষধিবৰ্গ তাহার “বুক বা সম্পর্শেন্দ্ৰিয় স্বরূপ। চন্দ্ৰ ভঁাহার মনঃস্থানীয়। জল তাহার রেতঃ-স্থানীয় । এই প্রকারে, প্ৰাণ-স্পন্দন হইতে, সেই প্ৰাণেরই অঙ্গরূপে, —সূৰ্য্যচন্দ্ৰাদি তাধিদৈবিক পদার্থগুলির বিকাশ হইল। এই আধিদৈবিক পদার্থগুলিকে প্ৰজাপতি, বিষয়-তৃষ্ণবিশিষ্ট না করিয়াই সৃষ্টি করিয়াছিলেন। যে পদার্থ যাহার উপরে ক্রিয়া করিবে, উৎপত্তির সময় হইতেই তাহ নিদিষ্ট • মূলে ইহাই প্রকারান্তরে বর্ণিত হইয়াছে। মূলে আছে-“প্রজাপতির মুখ ফুটিল, মুখ হইতে বাক্য এবং বাক্য হইতে অগ্নি জন্মিল’ । প্ৰজাপতির চক্ষু ফুটিল, চক্ষু হইতে দর্শনেন্দ্ৰিয় এবং দর্শনেন্দ্ৰিয় হইতে সূৰ্য্য উৎপন্ন হইল”।-ইত্যাদি । + মূলে “অশনা-পিপাসা’ শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে। সায়নদীপিকায় ইহার অর্থ-“বিষয়-লোলতা’ করা হইয়াছে। ,