পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম-নিরূপণ ও ব্ৰহ্ম-প্ৰাপ্তি । তাহা হইতে স্বতন্ত্র দেশই বা কোথায় যে, তিনি তন্মধ্যে প্ৰবেশ করিবেন ? জলে যেমন সূৰ্য্য প্রতিবিম্বিত হয়, সে প্রকার প্ৰবেশও সম্ভব হয় না। কেননা, ব্ৰহ্ম নিরবয়ব, অমূৰ্ত্ত এবং সর্ববব্যাপক। তাঁহা হইতে দূরে এবং তাঁহার আধারভূত বস্তু কোথায় যে, তাহাতে তাহার প্রতিবিম্ব প্রবিষ্ট হইবে ? তবে ব্ৰহ্মের কন্যবগে প্রবেশের অর্থ কি ? অন্য কোন কার্যাবস্তুতে স্পষ্টরূপে তাহার সত্তার উপলব্ধি করিতে পারা যায় না । কেবল বুদ্ধিবৃত্তির-বিবিধ বিজ্ঞানের-সাক্ষীরূপে ব্ৰহ্মসত্তার উপলব্ধি হইয়া থাকে। তিনি বুদ্ধিগুহায় প্রবিষ্ট বলিয়া অনুভূত হইয়া থাকেন। তিনি বুদ্ধির প্রকাশক বলিয়াই, বুদ্ধির বিবিধ বিজ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে তদনুগতিরূপে তাহার অখণ্ড জ্ঞানের ও সত্তার আভাস প্রাপ্ত হওয়া যায়। বুদ্ধিতে তিনিই মননকৰ্ত্তা, শ্ৰোতা, দ্রষ্টা, বিজ্ঞাতারূপে অনুভূত হইয়া থাকেন। এই স্থানেই ব্রহ্মের সত্তা উপলব্ধি-গোচরে আইসে । অন্য কোন প্রকারে তাহার সত্তা সুস্পষ্ট বুঝিতে পারা যায় না। এই বুদ্ধি গুহাতেই তাহার সত্তার প্রত্যক্ষ উপলব্ধি হয় । কাব্যাবর্গে অনুপ্রবিষ্ট জগৎকারণ ব্রহ্মসত্তার অস্তিত্ব, এই প্রকারেই উপলব্ধির বিষয়ভুত হয়। নির্দির্বশেষ ব্ৰহ্ম-সত্তা মায়াশক্তি-যোগে দুই আকারে বিকাশিত হন। এক, অমূৰ্ত্তআকার ; অপর, মূৰ্দ্ধ-আকার * । শক্তির বিকাশের প্রণালীই * ইহাই প্রাণ ও রয়ি; কারণাংশ ও কাশ্যাংশ ; অন্নাদ ও